অপরাধ
একএকটা দিন ধরা পড়ে যায় কবিতার কাছে
তোমার চোখের ভেতর থেকে তীব্র এক কটাক্ষ এসে
জ্বালিয়ে দেয় ব্রহ্মান্ড!
সন্দেহের ঢেউয়ে তলিয়ে যাওয়া শহরের সমস্ত যানবাহন,
আমার অসহায়তা, অর্ধেক জীবন-
মুখোশ আর মানুষের হ্যালুসিনেশনে ধুঁকতে থাকা
টিমটিমে হ্যারিকেন, কবিতা ছাড়া আর কখনও
কিছু দেয়নি।
তুমি ভাবো বিবাহ এক অধিকার।
মানুষ কি কখনো কারো হয়?
অগোচরে জেগে ওঠা ঘুমন্ত ফুলটির মতো বিহ্বল
করে স্মৃতি…
সবকিছুর বর্ণনা নেই। কারণ নেই। যুক্তি নেই।
তবুও গোপন সিন্দুক। যতই সমুদ্রের তলায়
রেখে আসা - ভেসে ওঠে শ্যাওলার মুখ।
তোমাকে বোঝাব কি করে - এ এক অভ্যাস!
আধখানা চাঁদের মতো আমিও চেয়েছি অন্ধকারের
ওপর নিজের শরীরটুকু এঁকে নিতে,
যতবার কলম উঠেছে সেই চোখ আমায় অর্ধনারীশ্বর
করে তুলেছে আর প্রতিটা অমাবস্যায় অঝোরে
কেঁদেছি শুধু নিজেকে ঢাকব বলে।
অদৃশ্য আকাশ সারা শরীর ঘিরে-
তুমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বজ্রপাত দেখো।
উত্তরহীন বাতাস বয়ে যায় মাথা নিচু করে
কবিতারা শুধু কচিদানার ঘাস হয়ে দোলে।
0 মন্তব্যসমূহ