দুটি কবিতা
মায়া বৌ-
৩৮
দুহাতে আগুন
মেখে উঠে এলে তুমি। জঙ্গলের চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে জল। যা যা করার কথা ছিলো আমাদের এ
জন্মে আর হলো না। আমাদের কথোপকথনের সুতো ধরে সবার অলক্ষ্যে দেখি উঠে এসেছে একটা
পাগল। দূরে মাথা নিচু করে বসে রয়েছে সময়। অপেক্ষা করে রয়েছে কেউ সাঁকো পার হবে
বলে। ক্রমাগত জ্বলে উঠছো তুমি। অনেক নীচে জল পুরোনো শত্রুর মতো বইছে। দূরে হাতছানি
দিয়ে ডেকে উঠলো কেউ। বিড়বিড় করে প্রলাপ বকে যাচ্ছে দুজন। একটা বাটির ভেতর ধরা রয়েছে
যে অপূর্ণতা তাকে নিয়ে চলো হারিয়ে যাই বনের আড়ালে। এই নাও। জ্বলন্ত হাতদুটো মুখের
ভেতর ঢুকিয়ে দাও আমার। চলো নিঃস্ব হই।
মায়া বৌ -- ১৪
ভাসছি কিন্তু
কোনো বিদ্যুতের অপচয় নেই। এই শস্যক্ষেতহীন
মাঠ,মাদুরের ওপর ঝুঁকে পড়া দুপুর এবং একটি বাথরুমের আত্মহত্যা
এই পাঠক্রমের অবশ্যপাঠ।
জেনো, কোনো
অবাধ্য কুঁচির কাছে আমি হাত পাতিনি কোনোদিন। কুড়িয়ে কুড়িয়ে সব মোহ তুলে রেখেছি
গাছের কোটরে। এখন আমি যে কোন সময় খুলেই ফেলতে পারি অন্ধদের নাইট স্কুল। আমার যে
সমস্ত লেখা সরিয়ে দিচ্ছি পাতার আড়ালে। আমার
মেয়ে একদিন শুরু করবে এইখান থেকে। সেদিনও কিন্তু তুমি ক্রোধ সম্বল করে আমার সামনে
এসে দাঁড়িও।
পান বরোজের ওপর ঝুঁকে থাকা চাঁদ নজর রেখো , মেয়েটা
যেন চুরি হয়ে না যায়।
0 মন্তব্যসমূহ