গুচ্ছ কবিতা
যেতে যেতে
১
বাকার্ডির বিজ্ঞাপন দিত যে মেয়েটি, সুধন্য তাকে পাগলের মতো ভালোবাসে। ফ্লেক্সে চুমু খায়। দুদিকে
তাকিয়ে নিয়ে ছেঁড়া ন্যাকড়ায় মুছে দেয় থুতু, মেয়েটির
ঠোঁট থেকে। সুধন্যর বিশ্বাস মেয়েটি ওর খুব কাছের কেউ। সারাদিন বিড়বিড় করে কথা
বলে। নাম জানেনা ওর। কথা বলে।
২
রোজকার অভ্যাস মাথা নীচু করে হাঁটা। কোলকুঁজো হয়ে
অনেকদিন কাটলো। সোজা তাকাতে খুব একটা ভালো লাগে না। পালিশ না করা বুটজোড়ার হেঁটে
চলাচল দেখে স্বস্তি পাওয়া যায়। এখনও তো হাঁটছে। মাঝে মাঝে খোয়ার উপর পা পড়ে।
ছন্দপতন। তারপর হাঁটা। ছেদহীন হেঁটে যাওয়া প্রথম শিখিয়েছিল দীপ্তদীপ। ছেলেটি কখনো
উপরে মাথা তুলে দেখেনি।
অথচ, একবার
তাকালেই দেখতে পেতো আর. আর. প্লট দিয়ে হসপিটাল যাওয়ার রাস্তায় একরাশ গুলমোহর,
রাধাচূড়া, জারুল ওকে ছায়া দেবে বলে দাঁড়িয়ে
আছে।
৩
জেনে, না জেনে কতবার দাদার কবিতা টুকেছি। অনেক শব্দমালার আত্তীকরণ করেছি আমার
কবিতায়। প্রভাবিত হওয়া ছাড়িয়ে গিয়ে তস্করবৃত্তিতে নেমেছি। দাদা যে দেখেনি তা
নয়। কিন্তু কিচ্ছুটি বলেনি। চুপি চুপি ডেকে নিয়েছে কাছে ।
মায়াবী বালক বলে দাদা হাতে তুলে দিয়েছে চার খণ্ড
উপনিষদ।
0 মন্তব্যসমূহ