শুশ্রূষা থেকে জল কেটে নিলে
যে সকালটুকু পড়ে থাকে তার আকাশে
সূর্য ওঠার প্রতিশ্রুতি কেউ কখনও দিতে পারবে না
ভোররাতে যে বৃষ্টি হয়েছিল
তার শরীর পৃথিবীর মাটিতে
যে অদ্ভুত মানচিত্র তৈরি করেছিল
পৃথিবীর কোনো দেশের সঙ্গে
তার কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যাবে না
গত কয়েক বছরে পৃথিবীর যত দেশ
গভীর অন্ধকারে ডুবে গেছে
আজকের দখিনের বারান্দার ছেলেরা
কেউ তাদের কোনো নাম শোনে নি
কোনো দৈনিকের কোনো কলামেই
তাদের কোনো খবর ছাপা নেই
তবুও মেঘের সরলরেখায় বৃষ্টি নেমে আসে
পৃথিবীর মাটিতে এক অদ্ভুত নামতার শরীর জুড়ে
থিক থিক করে পোকা আর অগণন পাণ্ডুর মাথা
হোটেলের সিঁড়িতে যাদের অবিন্যস্ত পা
অভয়ারণ্যের সবুজ কামরা থেকে চোখে পড়ে এক বৃত্ত
পাতার কোলাহলে কিছুটা জাগার ইচ্ছা তৈরি হলেও
বৃষ্টি নামে চরাচর জুড়ে
পাতার ভূগোল চুরি হয়ে যায়
বৃষ্টিদুপুরের অজানা গভীর সংকেতে
ঘড়ির উল্টো দিকে হেঁটে যায় কিছু দেহাতি মানুষ
তাদের হাতের তালুর আকাশে আঁকা থাকে রুগ্ন দুপুর
পাঠশালা ছুটি হলে হাতে পায়ে দস্যি শিশু
ঠাকুমার আঁচল থেকে খুলে নেবে ফুলের সকাল
সবুজ পাতায় নাম লিখে হাত রাখবে গাছের দেওয়ালে
বটপাতায় তৈরি হবে সন্ধের ঘর
এরপর আমাদের আর কোনো দুঃখ থাকবে না ।
0 মন্তব্যসমূহ