ব্যাক্তিগত ২১৩
কান্নার পর, অনেকেরই একজন
দরজা খুলে যায়, শীতল পাটি বিছিয়ে।
অতীত ও ভবিষ্যতের রং ঠিক করে
প্রতিবিম্ব। কেউ কেউ একাকীত্ব কিংবা
ইলাজের শুরুয়াত আঁকে। বুলবুলিতে
একমুঠেও জড়ালে,-- হয় একতিল দূরত্ব
রঙিণ চাদরে পূর্ণিমা মা হ'লো
সমুদ্র স্নানের পরে, চুল থেকে ফসফরাস
মেখে প্রেত তর্পনে, হেঁটে চলা সমীকরণ,
ঈষৎ ছলাৎ। --মুর্শেদ খুলে
শীত রেখে এলো মুদ্রা রাক্ষসে
রেখে এলো।
জল এবং নাভির রাত আটটা।
ব্যক্তিগত ২১৪
ভাঙা সর্বনাম, তাকিয়ে থাকে, প্রথম
যে মানুষ ভুল করেছিল ইতিউতি।
বেশুমার চোখের মৈথুন। মই নামিয়ে,
ই-কমার্সের ভগ্নাংশ জানায়। জল সইছে
চারপ্রহর অন্তরঙ্গতায় ক্রিকেট বল,
নরকের ভাঁজ খোলা গ্রামোফোন হয়
রাস্তা হারিয়ে ফেললেই অনেকটা
খুল যা সিমসিম।
একটু নেড়েচেড়ে চৈতন্যের অস্ফুট হয়।
দিল্লাগি ছুঁয়ে থাকে, হয়তো পত্ঝরে,
বিসমিল্লা এক ভেজানো না বলা সকাল
প্রতিধ্বনিতে লাটাই। বেডরুমের আনার দানা।
গুঁটিয়ে নেয় চুমু খাওয়ার রোদ, স্বরবর্ণের
টুকটাক চতুরাশ্রম।
ব্যক্তিগত ২১৫
বোতামের চোখে এক আকাশ, এবং
সিলেবাস থাকে। অনেক অবাক,--
গুণে তুলছে গিনিপিগ। এলোমেলো
রং, ঝরার ন্যূড স্টাডি। এলোচুল
ছড়ানো এক্কাদোক্কা।--প্রতিবিম্বে আলো হয়।
কারা যেন পেখম তুলে হেঁটে যাওয়া
ছায়াকে, রেশম পথ চেনালো।
চিবুকে বালুকাবেলার গান। শান্তির
জন্য ঢেউ কুচকুচ। ইশারায় হুতোম
পেঁচার
নকশা।
আলতো পালিশ রবিশস্যের গানে।
এককাপ ভিজিয়ে রাখা অন্ধকার।
একদিন দু'দিনে সত্যবতীর আলো হয়।
ব্যক্তিগত ২১৬
প্রিয়বৃষ্টি অন্ধকার পড়ছে, আলো
নামছে, পৃথিবী নামক ব্যাকুলতায়।
ঠান্ডা ওভারকোটে নির্জন গন্ধ।
তুমি তো এখানে আগে থেকেই ছিলে।
টুকিটাকি ব্যথার এক নিজস্ব গোধূলি
আছে। গালে ছোট্ট তিল আছে।
তার মধ্য দিয়ে দেখি নিজের অতীত
দেখি হরিদাসের গুপ্তকথা।
প্রতিধ্বনির সহপাঠিনী খুললেই ট্র্যাকরাস্তা।
অর্ধেক বেঁচে আছি ভাবসম্প্রসারণে।
জীবন নিজে নিজেই বেজে চলেছে
ঘুমপাড়ানি
দুপুরে
বাজছে কয়েকফুট রোমিও-জুলিয়েট।
0 মন্তব্যসমূহ