দুটি কবিতা
দম্পতিকথা-১আমাকেই বিয়ে
করে আজ সে সবচেয়ে অখুশি।
প্রত্যহ
অপমান বুকে বিঁধে যেন তীরের ফলা....
বুঝিনি সেও
ঘরপোড়া গরু, আগুনের
বিদূষী।
'সাধারণ
থাকা ভালো '- আজ এই আকুতি নিষ্ফলা।
অজগর তুলনা
পেঁচিয়ে আসে রোজ দুই কানে,
পিউপার
স্নায়ু থেকে চলকে দেয় কীটের দাঁত।
সব আঙুরের ফল
টক আজ ঘৃণার বাগানে---
পড়শীর
সেল্ফিতে চিৎ সুখ ভিজে থাকে সারারাত।
অন্ধের মাটি
খেয়ে সেই বীজ হতে পারিনি আমি,
পালকের
ব্যবধানে মোচড়ানো সে আকাশ নুয়ে--
পাপপ্রবণ
স্মৃতি মুছে আমি তবু বিফল স্বামী,
অনাবৃষ্টির
আলোয় মৃত সারসেরা থাকে ছুঁয়ে।
সবখানে
উজ্জ্বল রতি, শুধু
সেই থাকে আঁধারে।
একাকী সুখ
বিড়ি খায়, ছাই
পড়ে থাকে আহা রে...
দম্পতিকথা-৫
চোখে আজ
গুল্মের ক্ষমা, দুজনে
মন ভাঙাভাঙি।
ভাঙা কলসিতে
রাখা নক্ষত্র স্খলিত মৌন জল।
পুরুষ
পাথরের। ক্ষয়ের আগে অবিমিশ্র রাগী!
আলোকিত পেশির
নীচে রাখা মহাকালের ছল।
তবে সব দোষ
আরোহীর, নেতানো সে ময়ূরের।
সাপের
শামিয়ানা ভাঁজ হয়ে প্রকট মেঘফুলে...
আহত বিনয়
বুকে চলকায় তরবারি টের,
নৌকার ঝাঁকা
জলের মাথা থেকে রোদ নেয় খুলে।
পরিণয় ব্রতে
সেলাই সেই পাহারা অপরূপ,
কোষীয়
ঝিল্লির দিকে ঢুকে আসে যৌনতার মাছ।
আজ প্রেমের
সরোবরে নেমেছে মাছরাঙা স্তুপ...
অলিন্দে বয়ে
যায় প্রতিবেশী-ভাঙা বিরোধী কাঁচ।
দুর্দিন
শুয়ে আছে পুরাতন ব্লেডের মতো নখে---
আঁকাবাঁকা
শ্রাবণ ঝরে ভুরুর অভিলাষী শখে।
0 মন্তব্যসমূহ