ছিদ্র
দিগন্তরেখা পরিবৃত নাট্যমঞ্চের বৈকালিক ব্যাকরণ থেকে
কলাবাদীনিরা দূরে সরে গেলে
উইংসের সংগোপনায় সদ্য লেখা চিঠিখানা উড়ে আসে
দুই দৃশ্যের অন্তর্বর্তী সময়ে
জমে ওঠে নাট্যমেলার অন্ধকার
যেসব মেয়েরা ফসল ফলাতে এসেছিল আর
যেসব পশারিনীরা ফসল মাথায় নিয়ে
ফিরে যেতে যেতে পথ হারিয়েছিল পথে
তারা আবারও ফিরে ফিরে আসে;শীতে ও বসন্তে
দ্বারপীড়িত ফাঁদ তারা
মধ্যরাত্রির ব্যসনে স্বমেহন-মত্ত হয়
জোসনা প্রকট হলে মরে যায় জোনাকি;ছিদ্র শুধুই
সকল ছিদ্রই উর্দিধারী মাকড়সা
লম্বা পা ফেলে ফেলে প্রসার্যমাণ শূন্যতাকে দুরূহ করে
কান্নাঘর
শুকিয়ে আসা দিঘির কামড় থেকে ক্রমশ সরে সরে
আসছে
গর্ভে বসা কাঁকড়াদের পরিযায়ী মন
মন শুধু শুধু নাটক করে
অনন্ত চেহারার
বাদামীবর্ণ দুঃখবাদে বিশ্বাসী আমি
রান্নাঘরের ঠিক পাশেই কান্নাঘর তথা
ঢেঁকিশাল পেতেছিলাম, চৌকাঠে দু-দুটো শেয়ালের গর্ত
ঠাকুমা বলতো,সব পাপ ওখানে ঢুকে পাথর হয়ে আছে
যা কিছু খেতাম গিলতাম আমি,গর্তকে দেখিয়ে চিবোতাম না
এখনও সেখানে একটা অতীন্দ্রিয় কমলার গায়ে
প্রাচীন গরুর গাড়ির ভাঙা চাকা ঠেস দিয়ে দাঁড় করানো
মেঘেদের ঘরবাড়ি থেকে তুলোর রাশি উড়িয়ে দেখেছি
শুধুই জানলা শুধুই দরজা সেখানে
জল নেই তাই জলের উৎস খুঁজে পাইনি অথবা
জলের উৎস নেই তাই বুঝি জলও নেই
বন্ধকে বন্ধকে বিকিয়ে গেছে রুদ্রাক্ষে জড়ানো জনন প্রতিভা
গন্তব্যহীন
রাষ্ট্র প্রদত্ত নাম একটা থাকলেও থাকতে পারে।তাও বা বলছি কেন
আছে তো সে সবাই জানি
সে রাস্তায় অনেক টোটো অনেক অটো
বাসও আছে ঘন ঘন
আমি তাদের একটাতেও চড়ি না
যদিও কখনও সখনও রহস্যময় এক হলুদ ইঁদুর
কাছাকাছি এসে হাঁ করে দাঁড়িয়ে থাকে
তখন আকাশে নক্ষত্র অনেক।ছায়াপথ বরাবর
বাবার পুরোনো র্্যালে সাইকেলখানা কিছুটা পথ গড়িয়েও আসে
তারপর থেমে যায়
দূর থেকে বাবা আমাদের পৃথিবীটাকে আকাশ মনে করে
আকাশের ওপর আকাশ উপুড় করা
কোনও একটা নক্ষত্র ফেটে বীজগুলো ছড়িয়ে পড়ে আর
পৃথিবীর ঘরে ঘরে জন্ম নেয়
আমাদের ভাই আমাদের বোন
গোয়ালঘরে গরুর সাদা রঙের বাছুর হয়
ছাঁচতলায় পুঁইশাকের মাচা, পেঁপের রুগ্ন চারাও দুএকটা
রাষ্ট্র কাঠামোর বাইরে গন্তব্যহীন রাস্তায় আমি একা একা হেঁটে
যাই
0 মন্তব্যসমূহ