সকল প্রান্ত জুড়ে গর্ভগৃহে আগুন প্রসব
কেউ কেউ পুঁতে রাখে মড়কের বিষ ফল
দিনের খর দহনে আড়ি পাতে রাতের বৃষ্টি ঝড়
সবাই জানে ঘিরে আছে নীলকন্ঠ বিষের ছাদ
সংকোচ হীন বেহিসেবী শরীরের পাঁজর ভাঙে
খুবলে নেয় নরম বুক ভাষা কান্না গান
রাজা-রানি আত্মম্ভরি প্রচারে প্রসারে বশীকরণ বিদ্যা
শ্রেনিহীন ভালোবাসা ছিঁড়ে খায় অবিনাশী লোভ
অসহায় যন্ত্রণা বুকে চেপে মানুষের ইতিকথা
চোখে ভেজা ঘৃণার ছায়া পথ জানে লাল মাটি মহুয়া জঙ্গল
দুয়ারে নিশাচর বীভৎসতা খুবলে নেয় তাজা দেহকাণ্ড
বন্ধন কালেও পোষা থাকে নিষাদ সহচরী
সে গ্রাম শহর পাড়া বস্তী বেশ্যা ভাটি জনপদ
থাকুক না মৃত্যু মিছিল তবুও চাই মাংসাশী কার্নিভাল
প্রতি ঘরে মুখর প্রতিবাদী অক্ষর শব্দ কথা মুখ
জন্ম দাবি ছিঁড়ে ফেলে নিষাদ নিয়তির শোণিত প্রহর
নান্দনিক নরক
দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে ঘামের সাথে চোখের জলে রক্ত ও প্রজ্ঞা
নিঃস্ব সময় খোঁজে আশ্রয় সুখ সজাগ প্রত্যঙ্গ
সাদা যুঁই ফুলের স্বপ্ন দেখে গরম ভাতের ধোঁয়ায় জীবন
মাথার উপর ছায়া ফেলে উড়ে গেছে জলজ মেঘ মায়া
স্বৈর শাসন নেই কোথাও শুধু পিশাচসিদ্ধ ব্রত
নিজেদের হাতে জড়ানো মুখোশে মারণ উচ্চারণ
প্রসারিত দুটো হাতে যেখানে অঞ্জলি ছিল
নান্দিমুখ শ্রাদ্ধশান্তি চেনা হাত শাঁখা পলা
আমার স্বদেশ ভাঙে পায়ে পায়ে পাকদণ্ডী
নাচার সময় টেনেছে সময়টা থমকে জাহান্নামে
আত্মার তেজারতিতে ব্যাস্ত সান্ত্রী মন্ত্রী মহামাত্য
চেনা পথ নয় জেনেও পায়ে পা ঘাসে ফুলে আঘাটায়
পাতা ফুলে উড়ে যায় শরীর ছুঁয়ে অযুত রক্ত ঋণ
সবুজ পাতার আড়ালে অচেনা পাখি কথা খসে পড়ে পালক
হিরন্ময় ভালোবাসায় কলকল শিশু দেবতার কথা
রাতের রাস্তা সাদা নীল আলোয় চিৎকার তৃষ্ণা কাতর চাতক
রাতে দিনে মৃগয়াক্ষেত্র চুপকথা শোনে প্রাচীন দেয়াল
বিষ নীলে ঢেকেছে স্বর্গ তোরণদ্বার ফেস্টুন পতাকায়
পচে ওঠা দেহে ফুল ছড়াচ্ছে নান্দনিক নরক
0 মন্তব্যসমূহ