১১.
তার শার্টের বাইরে চিরকাল। বোতামে ধরা মুহূর্তের সা, খুললে
ধাক্কার আগে যে গাড়িটা রোমশ অন্ধকারে রে রে, তার পার্টস চিকণ হয়ে ওঠে। গাড়ির বনেটে
বসে কবেকার মধুবালা। গায়ে হিল্লোল। মাৎ করা
পা
স্বপ্নসমগ্রে
মোজা পরেই
পড়ল
একটা ছাতা চাই, শুধু শুধু ঘুরবে। ধা ধা ধাঁধাঁ। হাসলেই হয়
যে প্রকার রেলিংবুলিং, জল পড়ছে তার লোহায় ঝাঁক ঝাঁক, যাকে বৃষ্টি বলে, সেই। ছাতা
খুলল মধুবালা, কী সুষমা!
নিজেই জানতো না সে, চিরকাল কিছু নয়
শার্টে বোতাম বসানো
ছিঁড়ে গেলে সেলাই করা, এই আর কি...
১২.
মাপে মাপে পাখি। চড়ুই থেকে
শুরু, বেঁকে গেছে শালিখের দিকে। পোস্ট-অফিস খোলা, আজও। আশ্চর্য লাঠিচার্জের সময় আমি মনে
করার চেষ্টা করছিলাম রোবসপিয়র এই নামটা। রোব রোবে রবীন্দ্রনাথও, কিন্তু পুলিশের
আড়ালে থাকা আমি, রোবসপিয়রকে হাতড়াচ্ছিলাম।
যা হয়, লাঠিচার্জ শেষ।
পাখিরা সমাজে ফিরছে। গিলোটিনে নয়, মাতাল বর নেই পাখিদের। মানুষের পাপ চার্চ হয়ে ,
মন্দির, মসজিদ হয়ে পাখি হয়। পাপের কত রঙ, কত যে ডাক। সেই মাপে মাপে আমি ঢালি, তুমি
নাও। বিপ্লব হয় ফরাসী, ফ্রান্স জিতে যায়। রোবসপীয়র, মনে পড়ল যখন কিছু আর করার নেই।
পুলিশরা ফিরে গেছে। সন্ধ্যা হল।
রবীন্দ্রনাথ অনেক ফুলের
নাম দিয়েছিলেন। যেমন চন্দ্রমল্লিকা। রোবসপীয়র? আমি বই তুলে রাখি, অপেক্ষা করি ফুল
ফোটার। চড়ুই থেকে শুরু হয়ে যে রাস্তাটা বেঁকে গেছে শালিখের দিকে, সেখানে....
0 মন্তব্যসমূহ