সমসাময়িক
কাঠবিড়ালীটা যতদূর
সম্ভব মাটির ভেতর মুখ গুঁজে; লেজের
আগটুকু শুধু বাইরে। সেই মাটি ,কদিন আগে যেখানে ডালপালা ছড়িয়ে ডাগর ডাগর চোখে
হাসিখুশি গাছটা হাওয়ার তালে শরীর মেলাত।সটান গুঁড়িকে জড়িয়ে দিন রাতের আড়মোড়া
ভাঙত।অনন্ত ঘ্রাণ এখনো লেগে আছে কি তাতে!এই অন্তহীন অনন্তশয্যায় ঘ্রাণ কি লেগে থাকে! প্লাস্টিকে জড়ানো চার গাছা লাল চুরি, কালো
মোটা ফ্রেমের চশমা, প্রিয় বই এর ভাঁজে হাতে আঁকা বুকমার্ক,দেওয়ালে টাঙানো চওড়া হাসির ফ্যামিলি পিকচার
--এখনো অক্ষত।জীবনানন্দ, তুমি এভাবেই মৃত্যু- ঘ্রাণে মুখ গুঁজেছিলে কি?
পাহাড়পুরে হলুদ পাতা গুলো এখনো সবুজ হয়নি ,চেরি ব্লজমে পিঙ্ক টা কী
দারুণ মানিয়েছে, ম্যাপেল কে এই প্রথম সবুজ দেখলাম,'মোহব্বতে'সিনেমার পাতা বলে
চিনতাম ওকে।অ্যামাজন ফ্রেশের বাইরে শুনি দুজনের ফিসফাস্;ব্লাশের ব্রাশে আকাশ ছেঁকে
আনা কমলা অক্লেশে ছেলেটার বাঁ গালে।এমন এক খোলা আকাশের নীচে চুমু খাওয়ার সাধ,
মেয়েটার আজও অপূর্ণ রয়ে গেল।ভাঙা ভাঙা ইংরেজিতে দর করতে করতে ভুলে যেও পিচ্ নাকি
অ্যাপ্রিকট কোনটা যেন বেশি লাল!! মেয়ের নীল রঙের বুকপকেটে সূয্যি উঁকি মারে,ও এখন
হাই-ফাইভে কথা বলে।
এইতো সবে নিথর সময়ে
আগুনের চকমকি দুলছিল।তখনই অ্যাম্বুলেন্সের অহরহ আওয়াজ ভিডিও কলে।ছোট্ট শহরে
মৃত্যু, অভিমানী আল্পনা আঁকে স্টেশন চত্বরে।প্রিয়জনের স্বপ্ন থাকে, অক্সিজেন
ফুরিয়ে যায়।এয়ার কন্ডিশনে পাকিয়ে গরম পরেনি, ঘাম ছুটে যায় তবু।নিজের কপালে হাত
বোলাতে অন্যকে লাগে বলেই হয়ত, এত মায়াবিস্তার।স্বপ্নে গ্যালন গ্যালন রক্ত;মানব
সভ্যতা এগোয় না পেছোয় ম্যাজিক রিয়ালিজম জানেনা।
কড়িবরগার গা
ঘেঁষা স্যাঁতসেঁতে গন্ধটা পাওয়ার জন্য এই তুলতুলে আকুলি বিকুলি।একবার পা ফেললেই
সব ঠিক; এমন ফুলেল আশ্বাস,পাতি পুণ্যের লোভে ভোর থাকতে থাকতে আবক্ষডুব
গঙ্গাজলে।কুষ্ঠিতে কতই বা লেখা সম্ভব!!
হয়ত মোহভঙ্গতার
উপাদানেই মোহময় হয়ে ওঠে যাবতীয় ইনসান।সেলফি শেষ কথা নয় বলেই তো এত এডিট অপশন্।কী
অদ্ভুত না!এই কদিন আগেও দেখনদারি ক্রিম একটু কম হলেও আমাদের দুধের সরে কাজ চলে
যেত।
1 মন্তব্যসমূহ
Anobodyo!! Dapute lekhoni from ek dapute meye. Metaphors gulo ektu kom kom hole prose ektu beshi 'mukto' hobe bole mone kori..
উত্তরমুছুন