আমি এখন শ্রাবণের সঙ্গে ভিজছি
সামনে দেয়াল
ভূমিকার মতো খাড়া
তাতেই আঁকছি
জ্যামিতি, ক্ষেত্রফলও
তিলে তিলে
আষাঢ়-জমানো শ্যাওলায়
কথা রাখবার
ফাঁক নেই ;মেঘেরই
আলে ভাদই-বেলা , চলন্ত জানালায়
একলা গান বাজে কলের শেষ ভোঁ-এ
অদূরেই ডানামেলা
কাশের হাসিতে
ভাসে চির-শরতের
দেশ--আহ্বান
জলের অতলে
নদীঢেউ ,অভিমানী
ইচ্ছে
...নিশ্চুপ রহস্যে মনকেমনিয়া
ঘর ---আপনপেরোনো
দায়,হু হু যায়
ছুটে আপ-ডাউন
মেলের হুইসল ...
দেয়ালে এক
তিল ফাঁক নেই, জ্যামিতি
রেখা আগলে
শুধুই ভিজছি শ্রাবণে
২)
মেঘেরই আলিঙ্গন সারাক্ষণ । আড়ালে । প্রকাশ্যে।
বৃষ্টি আসে ,অজান্তেই,কোন মেঘে,কখন কে জানে!
অনর্গল গর্জন।খোলা জানালা গল্প আঁকে।বৃষ্টি
বোনে কবিতা---শ্যাওলাসবুজ, পিছলচাতাল,ছিন্ন
বস্ত্র ভেসে বেড়ায়...বিপন্ন পুতুল---জানা নেই আজ
স্বাধীনতা!!ক্রিয়াপদ ভেসে উঠতেই পাশে দ্বন্দ্ব ।
হাঁটে পথের কঠিনে। ভুলগুলো হাসে--করুণ চাহাত
শুধরে নিয়েই শুকনো রক্তমাখা দুহাত দরজা খোলে
কারা যেন হাততালি দেয়---শাদা পায়রারা উড়ে যায়
0 মন্তব্যসমূহ