এখন আমি অনেকদূর
পর্যন্ত যেতে পারি। অনেকদূর, নক্ষত্রপুঞ্জিত একলা ঈশানে চুপিচুপি। জ্যোৎস্না আর
ভালো লাগে না, শরবনের পাতায় পাতায় জোনাকি গেঁথে রেখেছি। ওরাই আমায় চোখে চোখে রাখে।
আমায় পথ ব'লে দেয়। যেখানে জলের টান নিম্নমুখী, নৈঋত থেকে ঝুঁকে আসা বাবলা গাছের
কাঁটা যেখানে গায়ের উপর এসে পড়ে আচমকা, সেইখানে হালকা ডানদিকে বাঁক নিয়ে ফের বাম
দিক ঘেসে চালিয়ে দিলেই একটা শান্ত দহ। এখানে জল বড় ধীর। আকাশের ছবি ভাসে জলে। দূর
দূর পর্যন্ত আর কোনো শরবন নেই, নেই কোনো বাবলাবন। মাথার উপর জেগে থাকে শুধু গুরু
গোসাঁই-এর দেখিয়ে দেওয়া লাল বিন্দু মণি। গোসাঁই বলে স্থির হয়ে চে থাকতি হয় জলের
পানে। যতক্ষণ না জলের তলা থেকি উঠে আসে একখান সাদা হাঁস। গোসাঁইএর কথায় আমি তাকে
হংস ডাকি। সে আমায় মাঝি বলে। এরপর আমার হংস চলে আগে আগে, আর আমি তার পিছুপিছু।
সারারাত চলতে থাকে আমার ভাঙা ডিঙি, নিঃশব্দে ধীরেধীরে। শুধু মাঝে মাঝে কানে বেজে
ওঠে গোসাঁইএর বাণী --দেখিস, লগি নড়ে না যেন।
1 মন্তব্যসমূহ
চমৎকার
উত্তরমুছুন