রাক্ষসীবেলায়
________________
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে ঠিক ঠিক মিলেছে দু'য়ে ।
এসো খাবে এসো মা ,
এই কলার পাতার সামনে থিতু হয়ে বসো ।
দ্যাখো যা যা খেতে চাও সব পরপর সাজান
সঙ্গে একচূর্ণী জল ।
রিক্সা দাঁড়িয়ে দূরে
পিছনে তাকিয়ে দ্যাখা আমার বারণ ।
কোথায় থাকবে... কি কি খাবে এরপর .... !
আমার আবার কাল ঘুম থেকে উঠলেই অফিস ।
এখন তো পরিস্কার দেখতেই পাবে তুমি
কোথায় কখন কোন্ অপকর্মে মেতে আছি
কত তাড়াতাড়ি তুমি বছরে দু'বার শুধু মালা দেওয়া ' মা ' ।
কতদিন ... হাজার লক্ষ বছর ...
সামনে নদীর জল বয়ে বয়ে শেষ ...
তুমি ...
বারবার তোমরা সবাই
উঁকিঝুঁকি রাক্ষসী নাড়িভুঁড়ি নিয়ে
ছেলের সাজান থালায় তবে এভাবেই ....
পাপ
___________
এই সেই অন্ধকার নড়াচড়া ডিগবাজি
সামান্য গরম ভাব বুক মুন্ডু ঠ্যাং !
এই সেই অন্ধকার তীব্র বিবাদরাত
দ্বিতীয় তৃতীয় রিপু উনুনের আঁচ !
এই সেই অন্ধকার পুজোর প্রতিমা সাজ
দু'হাত বাড়িয়ে জোরে '
আয় লক্ষী আয় ' ডাকি
বুকের ওপর পা শ্মশান কালীর !
এই সেই অন্ধকার ছিঁড়েখুঁড়ে আলো খুঁজি
হাতড়ে রাস্তা খুঁজি
অট্টহাসি পিশাচীনি ভুশুন্ডির মাঠ !
অন্ধকার চেহারায় ।
প্রেতযোনী সাদা শাড়ি কপাল ঠুকতে থাকে
দে'য়ালের গায়ে ।
কান্নায় বিধিলিপি ইঁটের গাঁথনি ভিজে
কপালের লেখনে কি নরম প্রলেপ !
এক ফোঁটা স্নেহরক্ত ঢালুপথে গঙ্গায় ।
রোজ ভোরে ঘাটস্নান পবিত্র আমি
অফিসে কাজেকম্মে সর্বপাপঘ্নং
শয়তানি মাথা ছুঁয়ে চোখ ভিজে পিশাচীনি
ছেলেপিলে মুখ চেয়ে ভবিষ্যৎ আশায়
ভাঁজ
________
সামান্য ভাঁজ দেখে ভোলাপাগলার রক্ত দপদপ ,
হঠাৎ
জাতীয় সড়ক ধরে লম্বা হাঁটার শুরু । চোখ শূণ্যে এদিক
ওদিক । বিরহীর উচ্ছেবেচুনী বেগোপাড়া ক্যাথলিক
যীশাস্ ঝোলানি ভাঁজ সোনালী গভীর ধানক্ষেত মাঝে
সূক্ষ্ম আলপথ । এ ভাঁজ ও ভাঁজ বুঝে হাঁটি হাঁটি উদাস
পাগলা ভোলা । সূর্য মধ্যপথে - রুমালে ভাঁজ মুছে সেজেগুজে
হাসাহাসি ভ্যানরিকশায় বসে বরের সঙ্গে । সূর্য ঢালুপথে -
আশাবৌদির বেকারি বিস্কুট দুধ চা .... এইসব এটা ওটা ভাঁজে ভাঁজে
সাতেপাঁচে আড়াআড়ি লেভেলক্রসিং পার ।
মাইল মাইল হাঁটছে । পাগলার দিন বড় রাত বড় পুরুষাঙ্গ
ছোট বড় । আলো ভর্তি কোর্টমোড় । খুঁজছে খুঁজুক ।
এপাশে ওপাশে মাটি । রক্তে দপদপ নাভি খুঁড়ে রাখা
কই ? .... ' মাণিক '
সিনেমা হল । রাম তেরী মন্দাকিনী । সগৌরবে আঠারো সপ্তা' ।
দেখিয়েছে ।
ঠোঁটের ডগায় মধুভাঁজ ! চুকচুক চুকচুক ! ভেতরে নাড়িভুঁড়ির রক্ত
দপদপ !
পুরো খুলে দেখিয়েছে ।
লম্বা লম্বা পা ভোলাপাগলা । হুশহাশ গোদাগোদা পান্জাব
লরী । বড় ভাঁজ ছোট ভাঁজ ঝুপড়ি ভাঁজ মারুতি ভাঁজ
আশপাশ এদিক ওদিক তীব্র হেডলাইট ! সামলে হাজার
কোটি দু'পায়ে
ভোলাপাগলা ভাঁজুনি মারতে মারতে
চূর্ণী পার হয়ে শান্তিপুর ....
দেবগ্রাম বেলডাঙা বহরমপুর ....
৮ ই মার্চ কিংবা শবরীমালা
____________________________
টর্নেডো আয় নেচে নেচে দেখি উড়ে যাক দোনামনা
থালায় প্রদীপ সতীসাবিত্রী দ্রৌপদী হাতে মালা ।
খোলাচুল পিঠে ' ট্র্যাডিশন ' সেঁটে মহা'ভারতীয়
তোরা
ওই কটা দিন কান খুলে শোন্ শবরীমালায় তালা !
এই কটা নয় , প্রতি
নারীদিন ফায়দাগন্ধে জেগে
দ্রৌপদী বাজি হাড়ের পাশায় যুধিষ্ঠিরের জেদে !
শাস্ত্রবিধান - সতীসাবিত্রী বন্ধ দরজা জেনে
কত একা রাত ঘুমের আড়ালে অপমানে কেঁদে কেঁদে !
দ্বিমতে সে'রাতে
অমাবস্যায় পূর্ণচাঁদ
টি' দিতে এসে চাঁদের
কপালে চাঁদে
বলে যায় ওকে " গোমুত্র " দিস ,
স্তন্য থাক ,
সাজান পুতুল চুল বাঁধে আর রাঁধে ?
আজ তবে তিথি মাসিকরক্তে স্নান সেরে
বিগ্রহ ছুঁয়ে নিজেই নিজেকে খুঁজো -
পাথরপ্রতিমা টান মেরে ফ্যালো ডাস্টবিনে