মৃতসঞ্জীবনী
কদিন এমন করে কেটে যায় – পলক পড়ে না ।
জিজ্ঞাসাচিহ্নের মতো লোকজন । আহ্নিকগতির কাল চুরি করে উড়ে যেতে চায় একাবোকা
হাজার কিউইপাখি । কুয়োর ভিতরে শুধু ব্যাঙেদের ছোটো ছোটো লাফ ,
শ্যাওলা-সাঁতার । এ গ্রহ নজরবন্দি ।
ক্রমে আর্তনাদ চুপ হয়ে আসে । জল দিয়ে গিলে ফেলা দারুণ উদ্বেগ । নিজেকেই গিলে ফেলা নয় ? আগুনে বরফে আর তফাৎ তো নেই ।
ইচ্ছের
সমাধিক্ষেত্রে এ কেমন হাওয়া বয় ! কেউ কারো নামই জানে
না যেন ।
নিজের পালকে গুঁজে মুখ মুহূর্তকে শুধু
রাখছে বাঁচিয়ে
ছাতারপাখিরা ।
দু – অক্ষরে সেই শব্দ --- ভয় পাই যাকে । বিপরীতে সরে যেতে চাই । জন্ম ... জন্ম হোক । বাদামের বনে এসে দেখা হোক দুজন মনের । বরফের বহু নিচে তারা ...
যেন জেগে ওঠা সালোকসংশ্লেষ ।
সূর্যের ক্ষমার আলো যদি এসে পড়ে
আবার কখনো ...
সুন্দর চাবির রিঙ কেনাবেচা শুরু হবে এ বন্ধ শহরে ।
হলুদ মোটর কার পিছু নেবে সুন্দরী টোটোর ,
“ কাজ রাখো , সরে এসো কাছে ..
“ – পুরুলিয়া
বলবে কাঁথিকে । এ ভাবে ফিরবে দিন ...
যেভাবে কবিতা
ফেরে নির্জন দুপুরে , অক্ষরের
কাছে । ফের
চেনা চেনা লাগে – দেখেছি কি
পূজোর সময়... ও
জগৎধাত্রীরূপে ?
জানি আছ । জানি তোমারও কষ্ট হচ্ছে খুব ।
ঝড়ে ভাঙা ঘর তুলছ আবার । মই বেয়ে উঠে ,
ঝুঁকি নিয়ে সারাচ্ছ আকাশ । চিকিৎসকের ডিউটি দিয়েই যাচ্ছ রাতভোর । বিষুবরেখা
দুই হাতে আগলাচ্ছ প্রাণপন তুমি ।
বিশ্বাস বেঁচেই
আছে ঝড়ে ভাঙা ঘরে ,
ভোরের নমাজ হয়ে --- মৃতসঞ্জীবনী
!