কোনারক, ২০১৮
বালি-লেগুনের কাছে কাজুবন কাঠের হরিণ এপ্রিলের শেষ আলো
মুছে আসছে। কে কাকে শেষবার ছেড়ে চলে যাবে
এ প্রশ্নের কাছে দাঁড়িয়ে রয়েছে বালুতট ও শেষ পর্যটক
পাথরের নিঃসঙ্গ জেটি প্রবেশ করার পর সহ্য কর জলের ঝাপট… নুন
আর্দ্র মোহনা থেকে কালো ছায়া হেঁটে হেঁটে বহুদূর যাবে, একা
রক্তমাখা বালি, জেগে উঠবে সান্ধ্যপ্রশ্ন
এ কোন গর্ভগৃহের কাছে বারবার টেনে নিয়ে আসা!
পাথর-দরজা ঘেরা... যার পেটের ভেতর অবলুন্ঠিত শিখা নেই
শুধু শূন্যতার বালি দিয়ে ঠাসা
পথ
জলের ঝাপটে কেঁপে উঠেছিল স্লুইস-ঝালর। তারও পর পথ ছিল
অভ্রখনি পাশে রেখে ট্র্যাক্টরের চলে যাওয়া চাকা, আমি
গল্প কুড়াচ্ছিলাম, কুড়াচ্ছিলাম মাছেদের আর্তনাদ, ছায়াপথে তারাদের গান
পাঠোদ্ধার করছিলাম বৌদ্ধ-পতাকার। মৌল আবিষ্কার
আমার কাছেই এসে খুলে দিয়েছিল খনিমুখ, বলেছিল – মাইকা মাইনে
তমসা পাবে না। সারারাত অসহ্য জোনাকি হয়ে কী যেন জ্বলবে
খনির ভেতর কবরে শ্মশানে। আমি হেঁটে হেঁটে গড়াতে গড়াতে
ফিরেছি রক্তাক্ত দেহে। তোমার দরজা-দেওয়া হাতদুটো ধরে
বলতে চেয়েছি – খুলে
রাখো দ্বার। এই ফিরে আসা এবার সম্পূর্ণ হবে
পেরিয়ে এলাম যে পথ সে পথ আমার ঈশ্বর