পামির
বস্তুত বর্ষা
আর শহরের শেষ সংকেতগুলি ...
পুরোনো রঙ আর
উৎকণ্ঠা ,
স্থাপত্যের অন্ন -- প্রাণময় বীজ কিশলয়ে স্বভাবত মিলে যায়
দূরে কে
সর্বস্ব হারিয়ে স্থির হয়ে থাকে লীন ভগ্নাংশে
সমস্ত ছায়া
শরীর থেকে ক্রিয়াপদের পুঁজি
খুলে নিয়ে
...
বেশুমার বিভুঁইয়ে শ্বাসাঘাতহীন ক্রীড়ারত পসরা
শশী --
ঘোড়ারা যে সব ছায়াপথে জ্বলেনি সামুদ্রিক যৌনতা ভেঙে ,
অভিভূত আর
অবিকল আহতের মনে পড়ে
রন্ধনপ্রণালী
কী কী ভাবে নক্ষত্রেরা শুষে নেয়
শুষে নেয়
আত্মপ্রতিকৃতি
আপোষহীন, এতদূর অবধি রক্তমুখ সাপের
কামড় ...
ভেষজের গন্ধ
যখন
পৃথিবীর শেষ
রশ্মি মিলিয়ে যাবার আগে
ঝিঁঝির
ডাকের মতো কাঁপে ...
সামনের
সমুদ্র নীল
গাছের মনে
মনে বৃষ্টি
আর কথ্যভাষায়
রোদে ভরে ওঠে
অনাথ ঘাসফুল
ছোটো থেকে
বড়ো হয়
সহজ জলের
ভেতর
ছড়িয়ে ছিটিয়ে
হাতড়ে দেখে
ভাঙা
গ্রামোফোন
অটুট বীজগুলি
পালক চরাচর
ঘুমিয়ে আছে
নিশীথ বিষে
প্রেক্ষাগৃহে
পোড়ামাটির অনুপল
সাজানো রঙের
হাসি
হাততালি
পুবের
কার্নিশে পায়রা
দরজা খুললেই
হামলে পড়ে
অণুর ভাঙা
আনন
ওল্টানো
ক্যালেন্ডারে
মাসের শেষ
রোববার
ডাকবাংলো নীচু বেতের চেয়ার ,
ক্রমশ
অন্ধকার
নেমে আসে
পেয়ালা পিরিচে
খুচরো ওষুধের
গন্ধ ,
নিজের
খনিজে
ভেজা
নামতাগুলো
আজ সাঁতরে ওঠা ইলিশ ...
মুর্দাফরাশ
দিগ্বিদিক
শ্রুতিকে বধির করে বৃষ্টি
চলকে পড়ে, সাময়িকী ন্যূন সংবেদে
আদার
ব্যাপারী ,
তার অন্ডকোষে
পুঁজ হয়ে আছে প্রাণবায়ু
অস্থির
রাত্রির সরাইখানায়
শরীরের
সবটুকু পেয়ে
পাশবিক বোধে
প্রথম বৃষ্টির এই কালান্তক
পূতিগন্ধ
প্রণালীর পথে
আরো চায় ভোগ, করোটির পাত্র ভরে
আরো চায়, পানীয় , ক্ষরণ ...
বেঘোর ঘুমের
ভেতর
নিমগ্ন
কালক্রমগুলি
আতত স্নায়ুতে
চূর্ণ করে
শব্দ মধ্যগত
এক ভেঙে পড়া
সাঁকোর আহার
ও নেশা দুই ...
সাদা ভাতই আজ
অধিক জীবন্ত ...!
পিঁপড়ে সারির
মতো শব্দে
মেয়েটির বক্ষ
-- আবরণী অনায়াসে
খুলে যায়
রাতের
উপকরণগুলি একে একে বুঝে নেয় মানুষ ...
দুরারোগ্য
মৈথুনের পর
জীবাণু
অনুসরণকারী চাঁদ
এক বিন্দু
জীবকোষকণা
কাবুকি
মুদ্রায় ছায়া নিয়ে
শরীরে ছড়ায় ,
নোনা ধরা মৃত ফ্যাকাশে দেয়ালে
পরিণামহীন
মুর্দাফরাশ ...
শ্যামলপ্রসূ
নিম্ননাভিমূলে ,