অ - কোমলধৈবত (এক)
সমুদ্রে খুঁটিপোতা ঘটপোতা শুরু হল
হারকিউলিস সহ পৃথিবীটা নামিয়ে রেখেছি
অবসর উথলে পড়ছে না
বিরলের মধ্যে বিরলতম ক্ষমাটি বাকি পড়ে আছে
পাগলামি করার নেশায় নাকের সীমানা বেঁধে দিই নি
রাজপ্রাসাদের জল ফুরিয়ে আসায় তাকে নিয়ে ছবি তোলা হল না
জলের ভিতর ক্রমাগত খোলস ছাড়ি হাল্কা হই
পঙ্গপাল ওড়ানো প্রেম ও তার রাজনীতি
নশ্বরের এপাশ ওপাশ গা মোচড়ায় বিশ্বাস
পানিট্যাংকির জলে সূর্যাস্ত মরেছে কবেই
খেলার মাঠ বসন্তবৌরিদের দিলাম
মনখারাপের মুলুকে ওরা উড়ে আসছে
রঙমিস্ত্রি এসে রঙকলি ফেলায় মুক্তি এনেছিল
যে সব জানলা তাদের
রাতের প্রসাধনী সব অশরীরি
দরজা ও বাতাস চিকিৎসা করছে আমার
বেনেবৌরা অশাব্দিক সেল্ফি তুলছে
শীতার্ত বসন্তের হলুদ অসুখ
মানুষরা জামাকাপড় মেলে দেয় চাঁদের উপর তাতে সূর্যের অভিমান
অসংখ্য অক্সিজেন সিলিন্ডার পায়ের তলায় গড়িয়ে চলেছে
আমার কঙ্কালের ব্লুপ্রিন্টের উপরে ঈগলের নজরদারি
আমি প্রজানীতির বাইরে যেতে পারি নি
ফলত আবার ডুবকি আবার গঙ্গামাটি কপালে
পানপাতায় মোড়া মৌটুসির পিত্তথলি
বদ্ধকুঠুরি দেখা দিল চারযুগ পরে কি হাল হয়েছে তার লালঠেঙি পাখির জানুহীনতার পাঠ পড়ে পড়ে
প্রতিটি চুলের চৈতন্য চুষে খাই
জোয়ার ও ভাটার মধ্যে পড়ে সেতু উল্লম্ব হয়ে গেল
ভালোবাসার শব্দরা পড়ে আছে মইখোঁজা লোকের বাগানে
মাটি ফুঁড়ে ফরফরিয়ে উঠছে রসগোল্লা আর তাদের পুতুল
দু এক চামচ ভালোবাসার উপর গুঁড়ো গুঁড়ো দয়া ও দয়ার গলাহাঁকারি
যৌনতা আছে কি নেই তার ময়নাতদন্তে নেমে কাঠগড়া আর হাঁড়িকাঠ প্রতিযোগিতায়
এখন নতুন ব্যালকনি চূড়াবাঁধা রাই
ঢেকুর তোলা হৃদয় ঘিরে চুরচুরে পোড়া ধুলো
নিরবধি মোজা কেচে কেচে আপনতর হই
যে পা কুমিরের জলকে নেমেছে তাকে আর বিশ্বাস নেই
তুলসী বাগানের ড্রোন বিচি পাখলায় নিরবধি
পানপাতার পাসপোর্টে আত্মার ছাপ বাগানের কারিগর অজান্তে বাসন্তীমালা স্বপ্নদোষে আক্রান্ত
মমতার ভোল্টেজ বাড়ে শরীরের প্রেত উড়ে যাওয়ায়
জলকে নামা খোঁড়া পায়ের প্রাগৈতিহাসিক কান্ডকারখানা চিত্রকথার দীর্ঘনিঃশ্বাস
কেউ দেখেছে কেউ পল্লবিত
পোশাক জামা বিদ্রোহ করে আবার জামার অশ্রু
ভামের নখে ভাঙা জানালার কাচ
নিজেও ভামতুতো তাড়নায় সমাধিস্থ
আহ্লাদে গা চটচটে টানা একযুগ
কবরের কঙ্কাল কবিতা লিখেই চলেছে
আবেগের প্যারাশুট শক্তিশালী পাখিটি ব্যবহার করেছিল বেশি
প্যারাশুটের ঝুলনে আমি আর নাই
মেলায় জুটেছে বুকের দুপাশে ডাকিনী যোগিনী
বসন্ত পালাতে পারলে বাঁচে
শিলাবৃষ্টি খুঁজে অসংখ্য দিনের জীবাশ্ম পাই
জোয়ারে আলাদা ছিলাম
ভাটা এসে দু'টো মুখের একই আধারকার্ড তৈরি করিয়েছে
তখনও আমি কুঁই কুঁই হেসে উঠি পেটের ভিতরে
গুলতিমারা এক ধাক্কাতে পৃথিবী এগিয়ে গেল আরো এক বছর
পাথর অথবা বরফ কোনটা ছুঁইয়ে ঘরে তুলবে তোমাকে?
শিকল বেড়ে চলেছে গঙ্গামাটির নিচ দিয়ে তার মুখে নুন ছুঁড়ে দিই জোঁকের গুটানোতে
পিরামিড ধসে পড়েছে এই স্রোতে
মানিব্যাগ থেকে কতোবার তার অপ্সরা ছিটকে পড়েছে
বায়ুমণ্ডল বোবাকালা যান্ত্রিক দুলছে ঘরের আসবাব
নিবাতনিষ্কম্পশিখা মূর্ছায় গলছে
জোকার খুঁজে পাই বিবির হরতনে
জোকারের সহজাত ছদ্মকুন্ডল
রানিদের বকবকম ভরা আঁচল এসে পড়ে গায়ে
গরম বাতাস সরে গেলে
হাঁড়িকাঠের গলায় কাঁটা বিঁধেছে
খাড়া হয়ে যায় পিছনের হুল
দই জমে ঘিলু মিষ্টান্ন ভান্ডার
খেজুর গাছে জরায়ুর ঠিলে বাঁধা
প্রতিটি পোশাক বদলে সেই এক রস নিষ্কাশন
জোরে টিপে ধরার এই ফল
আমার ল্যাংড়া হায়নার হাসিই সম্বল
রেজিস্টার খোলো নাইটি খোলার আহ্লাদে
পাতের কোণে রয়ে গেছে বটফলের আপাত ফল হয়ে ওঠার কাহিনী
জল এঁকে উঠতে হাভাতে পরিশ্রম হল
মৃত্যু চুরি হয়েছে আমার
নকল মৃত্যুর শংশাপত্র বুকে লটকানো
চিমনির দোরগোড়ায় এসে কাগজপত্র উড়ে গেছে
শুশুককন্যার বাতিল প্রয়োজনীয়তা
ছক্কা ফেলেই দ্রুত মুছে দিই
সিএনজি সাংকেতিকতায় রিক্সার দ্রুতি
শেয়াল হায়না নেকড়ের দাঁতই ঘুঁটিহাতের তালুতে কুরকুর করে
ঘটনা ভালো ভাগ্য ভালো না
অক্ষর মমি করার সুযোগ আসে
মমিতে চুলকানি জ্বালাবোধ
রাধার হারানো কোমল ধা বেহাগে বসন্তে থিতু হল না
বোতামের চতুরালি বনেট চাপা পড়া নদী
ধুনকিফুল বাংলার ফুল দাঁত কাঁপিয়ে ফুটছে
কেউ গরীব হ্লাদিনীদেরকে ভেবে কাগজের তাপমাত্রা কমিয়ে দেয়
অসতর্ক জিভ গরম চাটু ছেড়ে লক্ষ্মী খুঁজে পাবার হিসেব দেখিয়ে দেয়
নুন গিলিয়ে গলা টিপে ধরার পরও আর্সেনিক সেবন
মরছে না লাভাইরাস ভাইরাস
কবিধ্যানে খোঁচা দিয়ে উইপোকারা বিব্রত
টিউবলাইট গল্পে ভরা দপদপ করে
একটিমাত্র রুমাল মসলিন আমার
ডুবকি চুবকি সব মহাকাশে
ন্যাড়ামাথা এগিয়ে দিই
অসংখ্য বার হাত বোলানোর ফল
মাথায় স্তনবৃন্তের আভাস...
আস্তানার আশেপাশে সুড়ঙ্গ শিয়াল না থাকলেও
সুড়ঙ্গরা সমবেত ডাক ছাড়ে
বুকের দুপাশে ভবিষ্যতের কাঁধ দানাপানি জহরমালা
দূর নক্ষত্রমালার ট্রাপিজিয়ম পায়ে পায়ে সচল রাখছি।
লাল আয়নার নীল ঘোড়া গ্ৰামীণ ঘোড়ার হৃদয় বয়ে বেড়ায়
আগানে বাগানে ঘোড়ার দাঁতের শুশ্রূষার দাবি বেড়ে চলেছে
বরফ দাঁতের মুখোশ হৃদয়ের মুখোমুখি
লাভের গুড় ডেয়ো পিঁপড়ের ঘরে মজুদ
শত বিপ্লবেও কৃপণতা ছিঁড়ে ভাগ বসাতে পারছি না
পাল্টানোর দিনকাল তেজস্ক্রিয় লেজের হায়নার
প্রিয় শহরের থমকানো মেঘ মেঘেদের শব
শবের পান্ডুলিপি গায়ে জড়িয়ে দিয়েছ
আরো একবার স্বীকারোক্তির ছালচামড়া
আদরের বল্কল
ফুটিয়ে তুলছে প্রাচীন মাশরুম তার হাত মকসো করা সূর্যাস্ত
দেবযানী বসু