গুহাচিত্র
থেকে একটি তারা উড়ে গিয়ে বসেছে শীর্ণ ডালে
তার তর্জনীতে
প্যাঁচানো জন্মান্তরের ধোঁয়া
এই সময়ের
ছেলেমেয়েরা গাছ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে গুহামুখে
তীব্র বাতাসে
কেঁপে উঠছে তাদের গোপনতা
স্বভাবসিদ্ধ
ভঙ্গিতে কেন যে ভেঙে যায় আত্মক্ষরণের মহোৎসব
বাঁশবন চিরে
যতবার জ্যোৎস্না আসে
ততোবারই
বারকোশের নিভৃত উত্তাপে মোম গলে
বন্ধ হয়ে
যায় নিহত সম্ভ্রমের শরীরী স্রোত
সারারাত ধরে
উড়ে যাওয়া তারাটির রেণু
স্পর্শহীন
জলের নিঃশব্দ
উঠোনে নতজানু
এইখানে একদিন
মৃত্যুভয় তেঁতুল গাছ থেকে নেমে
চূর্ণ করেছিল
শিল্পানুগ ক্রীড়ার রদ্দুর
বিপন্ন
জ্বরের ক্রোধ দ্বিধাথরথর দিগন্তে ঘূর্ণি
প্রকৃতির
সম্মতিতে কারা যে ভাবো
গুহাটির
চৌহদ্দি জুড়ে সমুদ্রমোহ কিন্তু
রাতের
গর্ভপাত চিনে রাখে উলঙ্গ তারাটি
কোন দৃশ্য
নয়
মুহূর্তের
স্তব্ধ সর্তকতা
নির্বোধের
রাস্তামুখী আধো-অন্ধকার গ্রাস করে ফেলে তারাটিকে
নশ্বর সুখের অশ্রু
বিপন্ন সময় নির্মাণ করেছে ঘূর্ণির করুন অশ্রু
মৃত্যুও আজ ফুলের রঙে পূর্ণত মূক
বৃক্ষশাখার ফাঁকে চেঁচিয়ে ওঠে অবগাহনরত রাত
সেই শব্দে দুটি পাখির বেপরোয়া বর্ণ
কেন যে খোঁজো পাড়াগাঁয়ের অন্ধ স্বরলিপি
অথচ ছায়ার সমতলে পরাজিত নগরী
তান্ত্রিক উচ্চারণ খুলতে পেরেছে কি কোন দরজা
নাকি শুধু অনিদ্রার অশ্রু খুঁজে চলেছে পাতাল
শান্তনু প্রধান