সাম্প্রতিক

6/recent/ticker-posts

শান্তনু প্রধান

দুটি কবিতা



নিসর্গ তারা



গুহাচিত্র থেকে একটি তারা উড়ে গিয়ে বসেছে শীর্ণ ডালে
তার তর্জনীতে প্যাঁচানো জন্মান্তরের ধোঁয়া
এই সময়ের ছেলেমেয়েরা গাছ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে গুহামুখে
তীব্র বাতাসে কেঁপে উঠছে তাদের গোপনতা
স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে কেন যে ভেঙে যায় আত্মক্ষরণের মহোৎসব
বাঁশবন চিরে যতবার জ্যোৎস্না আসে
ততোবারই বারকোশের নিভৃত উত্তাপে মোম গলে
বন্ধ হয়ে যায় নিহত সম্ভ্রমের শরীরী স্রোত
সারারাত ধরে উড়ে যাওয়া তারাটির রেণু
স্পর্শহীন জলের  নিঃশব্দ উঠোনে নতজানু

এইখানে একদিন মৃত্যুভয় তেঁতুল গাছ থেকে নেমে
চূর্ণ করেছিল শিল্পানুগ ক্রীড়ার রদ্দুর
বিপন্ন জ্বরের ক্রোধ দ্বিধাথরথর দিগন্তে ঘূর্ণি
প্রকৃতির সম্মতিতে কারা যে ভাবো
গুহাটির চৌহদ্দি জুড়ে সমুদ্রমোহ কিন্তু
রাতের গর্ভপাত চিনে রাখে উলঙ্গ তারাটি

কোন দৃশ্য নয়
মুহূর্তের স্তব্ধ সর্তকতা
নির্বোধের রাস্তামুখী আধো-অন্ধকার গ্রাস করে ফেলে তারাটিকে


নশ্বর সুখের অশ্রু



বিপন্ন সময় নির্মাণ করেছে ঘূর্ণির করুন অশ্রু
মৃত্যুও আজ ফুলের রঙে পূর্ণত মূক

বৃক্ষশাখার ফাঁকে চেঁচিয়ে ওঠে অবগাহনরত রাত
সেই শব্দে দুটি পাখির বেপরোয়া বর্ণ
কেন যে খোঁজো পাড়াগাঁয়ের অন্ধ স্বরলিপি
অথচ ছায়ার সমতলে পরাজিত নগরী

তান্ত্রিক উচ্চারণ খুলতে পেরেছে কি কোন দরজা
নাকি শুধু অনিদ্রার অশ্রু খুঁজে চলেছে পাতাল



শান্তনু প্রধান