গাছটি কেমন নীরব হয়ে গেছে।
আমি তো কোন অভিযোগ লিখিনি তার পাতায় পাতায়। চাইনি তো ঘাম শুকোনো বা আঁচল ওড়ানো হাওয়া।
কিংবা একমুঠো ছায়া। রোদ ভালোবাসি। জৈষ্ঠ্যের মাটি ফাটানো উত্তাপে গলিয়ে দিতে চাই আমার
ক্লান্তি জড়তা ভীরুতা। গাছটি খবর পায়নি হয়তো।তাই সে পাথর প্রেমিকের মতো তাকিয়ে
আছে পরাজিত চোখের দিকে।
কিন্তু কী করে বলি, এইমাত্র
মরা তুলসীগাছ উপড়ে ফেলে নতুন চারা লাগালাম। দুহাতে ছিঁড়েছি আগাছা।কার মুখের দিকে
তাকাব? কাঁটা তারের বেড়ায় ঘেরা হৃদয়। বিন্দু থেকে যে পথ চলে গেছে বড়ো রাস্তায়,এ
আমার একান্ত শ্রম আর বিশ্বাসের ফসল। মাঝে মাঝে কথায় ভুল করি। বাঁশ ফুলের জন্য নির্মাণ
করি ঈশ্বরীক বেদী। আসলে কেউ কারুর ভেতর যেতে পারে না।কেউ কাউকে জয় করতে চায় না। মিছিমিছি
একটা প্রচেষ্টার ভেতর নিজেকে নিঃশেষ ধ্বংস করার পর যখন সত্যি সত্যি চিতার আয়োজন, ফিরে
আসি, আঁচ ভাতের কাছে। জ্বালানি খড়ের কাছে। ঘুঁটে পাটকাঠির কাছে। এই প্রকৃত আসবাব।
আশ্রয়।
আসলে একটা সঠিক পথের জন্য
একটি ভুল বরাদ্দ থাকে। পথের মুখ খুলে গেলেই আলেয়া তরঙ্গে দুলতে থাকা আবেগ শান্ত হয়ে
পূজা খোঁজে।
বোধকরি গাছটি জেনে ফেলেছে
যোগের কথা। একটি তপস্যার জন্ম দিতে তার শিকড়ে বসাতে চায় বধূকাব্য। বোধ রঙের এক পাখি
ডিম পেড়েছে নীড়ে। গাছটি চাইছে তার কন্ঠের সুর হয়ে যাই এমন বাউল সকালে।
আর শিকড় চলে যাক মাটির
অতলান্তে,,,,,
খুকু ভূঞ্যা