বৃষ্টিপথ
সুদীর্ঘকাল আকাশ যেন রঙহীন ক্যানভাস,কোনোদিন যেন বৃষ্টির চুম্বনে রঙ মাখেনি
কামনায়,তার অর্থহীন সাদায়
সর্বদা ফুটে উঠছে পাবলো পিকাসোর মুখ।
আমি সৃষ্টি করব বলে নিজেই সেধে নিয়েছি
অনন্ত অসুখ!
দুঃখকে বসিয়ে রেখেছি পাথুরে প্রণামের সামনে,কষ্টও কাঁথামুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে অন্ধ ভিখিরির পাশে, বেদন
পুরাতন পোড়ো বাড়ির একটা ভাঙাচোরা দেওয়ালে মাথা ঠেকিয়ে নির্বাক...
এবার বর্ষা টাইরেসিয়াসের মতো বাড়ুক...
আমি শুধু নিজস্ব অশ্রু দিয়ে আকাশের পোশাক বানিয়ে দেবো,যাতে সূর্যোদয়ে তাকে আর নগ্ন না দেখায়...
শস্যে,শ্বাসে এবং
শামিয়ানায়....
সরাইখানা
স্বর্গের ঠিক পাশ দিয়ে বেরিয়ে গেল
সবচেয়ে লেট করা লোকাল ট্রেন,যারা নিত্যযাত্রী তারা কেউ সেটা ধরতে পারেনি!
ফলে নতুন যাত্রী জানে না,কীভাবে স্বর্গ ছুঁয়ে সকল খুচরো পাপ ধুয়ে দিতে হয় রেল কামরায়...
রাত এখানে মৃত্যুর আগের স্টেশন, জন্ম সবচেয়ে বড় জংশন,একবার থামলে সুদীর্ঘ বিরতি।
কিন্তু গন্তব্য তো থেমে থাকে না,নিজে না পৌঁছালে সেই ছুটে আসবে যাত্রীর কাছে
কতদূর যাবে গা বাঁচিয়ে, কতটুকু শোধরাবে ঋণ
আমরা সামান্য যাত্রী,আমাদের যাত্রাপথে থেকে যায়
গোপন লুপ লাইন!
যাতে স্বর্গ নেই, সরাইখানা আছে।
1 মন্তব্যসমূহ
good reading. thank you editor and writer.
উত্তরমুছুন