১.
মাটির
মুখ
অচেনা রাস্তায়
ছুটছে ধুলো
হাত ধরাধরি।
অন্ধকার নামে
শিকারীর মতো
ঝুপ করে মাছ
তুলে নেয় মাছরাঙা যেন।
চেরিফলে ভরা বসন্ত ঋতু।
পথ কেটে দেয়
অচেনা বেড়াল,
দাঁড়িয়ে থাকি আগন্তুক।
যদি দরজা খুলে বেড়িয়ে আসে গলানো
কাফতানের ভেতর মাটির মুখ!
২.
মন
উথলে আসে ঢেউ
নিঃসঙ্গ, একাকার-
ফিরে আসে ভেসে
যাওয়া একপাটি চটি!
৩.
বিচ্ছেদ
লাইট হাউজে লাল
আলো
কালো এক
রাজহাঁস উচ্চাঙ্গসংগীত শোনে,
মাথা ডোবায়
কোপাইয়ের জলে।
৪.
ব্লেড
চিৎ হয়ে শুয়ে
থাকা দুটি শরীর
পাশাপাশি -
স্পর্শহীন
তবু আবদ্ধ শিকলে শিকলে।
৫.
খিদে
খিদেতে জ্বলে
উঠছে পেট
পোড়া রুটি
সেঁকে দেয় অভাগী সে,
কলঙ্ক বেড়ে দেয়
জ্যোৎস্না ভেবে!
৬.
স্বপ্ন
জলের ভেতর ভেসে ওঠে
একটি সোনার সূর্য!
৭.
মানুষ
ঢেউ বাড়তে বাড়তে বেড়ে যায় গর্জন
দেখি, এক একটা মুখ সমুদ্রের মতো কালো।
৮.
সময়
দুতিনটে প্রশ্ন
ছুঁড়ে দিয়ে
মাটিতে তাকাই -
শুক্ন, ফাটা দাগ,
পাতাদের মৃত
শরীর ঢিঙিয়ে
পেরিয়ে যাচ্ছে
আকাশ!
৯.
নদী
হতে ক্ষতি নেই আর
নদীকে লিখেছি
আত্মহত্যা কি,
জল হয়ে মুখে
লেগেছে হাসি।
বোঝার আগেই এত
ঝলমল,
ভোরের আলো ভেবে
আমাকেই
জড়িয়ে ধরেছে
গাছ।
পাখি আর কীট
পতঙ্গের সার,
কাঠবিড়ালির দৌড়
দেখে ভেবেছি নদী হতে
ক্ষতি নেই আর,
নদী হতে ক্ষতি
নেই আর!
১০.
মা
কিছু লিখতে
বলেছিলে,
আমি লিখলাম
'মা'
মনে হল।
একটি উপন্যাস
শুরু হল কোন..
১১.
একটা
সাদা পায়রা
রূপকথা ছিঁড়ে বেরিয়ে আসছে আলো,
কী তীব্র, নিষ্ঠুর।
ঘুম ভাঙে,
বৃষ্টির মতো রক্ত ঝরে ফালা ফালা বুকে।
অন্ধ ভিখারি ভরসার হাতটুকু কাঁধে রাখে,
অথচ সামনে- খোলা ম্যানহোল
কালো হয়ে যাওয়া তৈলচিত্রে জমাট বিস্ময়!
গতির পিছনে মৃত্যুর ছুট-
জলের ভেতর ভুড়ভুড়ি কাটে শ্বাস।
একটা সাদা পায়রা, রক্তাক্ত,
উড়ছে তবু উড়ছে
যতক্ষণ না মৃত্যু তাকে চিনিয়ে দেয় স্তব্ধতা!
১২.
সুতো
কোথাও এক সুতো
অদৃশ্য -
হাতের পাতায়, কেঁপে ওঠে জল
কিভাবে জেনে
যাওয়া?
পাশে থাকা -
হাজার হাজার
মাইল দূরে তবু
একই নিঃশ্বাস
যেন বাঁচিয়ে রেখেছে
দুটি গাছ…
0 মন্তব্যসমূহ