ক্ষয়
একা
বাল্যমেঘ ধরে শুয়ে আছি, প্রাণতোষ, ইদানীং
ভয় লাগে খুব।
কেউ
যেন নেই আর স্নেহ বাজাবার মতো, কারও চোখে
উন্মাদনা নেই।
একা
বাল্যমেঘ ধরে হাত ফালাফালা হল, অথচ যেহেতু
পারিবারিকের
জামা গলিয়ে ফেলেছি, মুখে ভানের শাসন বসে গেছে,
এই
রক্তদাগ থেকে কিছু কান্না নেমে যায়, কিছু
গৃধ্র এসে
হাহুতাশে
ঠোঁট রেখে অনুভূতি খুঁটে দেয়। বহুদিন পর মাংস, শোক।
বহু
মৃতমুখ এই শরীর বহন করে, বহু অন্ধকার, আততায়ী...
আবিষ্কৃত
বালিকার কশের ইশারা, রতিপ্লাবনের জড় সূত্রপাত,
আরও
অস্থাবর কিছু রয়েছে, থাকার জন্য যেহেতু অস্তিত্ব
ব্যতিরেকে
অন্য
শুল্ক দিতে আর হয় না কখনও, তাই রয়ে যাওয়া, বীতশোক থাকা।
তবু
বাল্যমেঘে কারও প্রস্রাবের সরু শব্দ, কারও
থুতু, স্বেদ
গড়াতে
গড়াতে ক্রমে অভাগা প্রসার পেয়ে লাট হয়ে গেছে স্নায়ুপথে।
স্থির
হ! স্থির হ! স্থির!
সেলুনে
অখাদ্য মাথা ভার কমানোর কামে ঘুমে শান্ত; ঘুমেই
নরক।
রাখ্মনিনভ
শোনা মাথায় কে হাত রাখে! তাদেউশ পড়া চোখে হাত!
আত্মীয়
কোথায়? কিছু মোটাত্বক মদ্যপের আঙুল বুকের মাংসে
ঘোরে।
ওরাই
বন্ধুত্ব দিয়ে টিকিয়ে রেখেছে, রাখে
ওরাই
শত্রুতা দিয়ে সরীসৃপ হাড়ে ভরে দেয়।
এবার
পালাতে চাই, প্রাণতোষ, বহুদিন
ব্যর্থতায় বাঁজা আয়ুষ্কাল...
সবাই
লিখেছে কালো জার্নালের কাঁখ বেয়ে, সবাই
লিখেছে বাস্তবিক
শৈশবের
হেনস্থার ফিরে ফিরে আসা, ঘুম মুচড়ে যাওয়া
অসুখ
ব্যাপারে।
আমি কি
কৃত্রিম কিছু লিখে রেখে যাব, যাতে শুরুতে
বিতৃষ্ণা লাফ দেয়,
পরে সে
নরমভাবে কোলে ঠুসে ধরে মুখ! বলে— “নে, বিকার
চেটে দ্যাখ!”
এই
যৌনবোধ যদি ঘরে ঘরে হয় আমি খুশি খুশি বাল্যমেঘ ছেড়ে
মরে
যেতে পারি। স্থাণু বাল্যদশা শিথিল ক্রমশ।
যদি, প্রাণতোষ, এই সংকর করোটি ভেঙে কিছু শিশুতোষ রূপকথা
খুঁজে
পাও, অতি যত্নে সেসব পুড়িয়ে ফেলো। ওসব অসুখ,
সঙ্গদোষ।
ছিলাম
এখানে, আর নেই— এই শেষ বাক্য উৎসবের কানে কানে
রেখো।
0 মন্তব্যসমূহ