দুটি কবিতা
পরিতোষ
পরিতোষ এক বিপজ্জনক আনন্দ খাদ
আমার পিসি সাদা কাপড়ে মুখ ঢেকে
লন্ঠন হাতে
সেখানে দাঁড়িয়ে থাকে
নন্দীগ্রামের পাঠক বিশ্বজিৎ পিসিকে
কখনো দেখেনি
তবে কৌশিকী অমাবশ্যায় সাদা ঘোড়া আর
লন্ঠনদের অন্ধকারের এ্যান্টিচেম্বারে ঢুকতে দেখেছে
কেহ কেহ দাবী করে ভোকাট্টা মানুষের কসমিক ধ্বনিগুচ্ছ
অর্চনা বৃক্ষের সাথে গা ঘসলে গাঁজাপাতারা হিংসে করে
352 নং ঘুঁটিটা যেদিন
নিরুদ্দেশ হল তুমিও জানতে পারোনি পরিতোষ তোমার না গিঁট দেওয়া দড়ি প্যান্টে
ফরিয়াদি হয়ে ঝুলে থাকবে
হায় এসব জেনে যাওয়ার পর নীল বৃষ্টিপাতকে বলেছো তোমার প্রেমিকা
কেন হাড়কাটা গলি আর কাঁটাপুকুরে লসাগু কষতে বসে
জ্ঞানতঃ কোন রসালো বৃক্ষের সাথে দেখা
হয়নি
কোন তন্ত্রসাধিকার প্রকরণ আয়ত্ত
করবে বলে মহাসর্পিনীর জিহ্বায় ভেসে যায়নি পুঞ্জীভূত সময়
পরিতোষ এক পথভোলা আত্মীকরণ
সম্পাদ্য
যা দিনের বেলা মুখ ঢেকে রাবার গাছের
মত মাথা দোলায়
অনুবাদ
খঞ্জনার অনুবাদক একজন সিক্ত খঞ্জনা
তুমি যা দেখো তার প্রত্যয়িত একজন
যা কখনো প্রাক্তন হতে পারে না
যা প্রত্যাখ্যান করেও বেতসের মতো
পেলব
তুমি যাকে আগম ভাবো আর নিগমতার রসায়ন ও তার মৌল
অনুবাদক তুমি না হলে
অন্য কোন পাত্রে অবধারিত উপচে পড়বে
অনুচ্ছেদের পাশে প্রশ্নচিহ্ন ফল
নিয়ে হেসে ওঠে
সেই হাসিতে নেউল ও অপাপবিদ্ধ অশ্ব
দৌড় শুরু করলে তুমি এক খোলা পৃষ্ঠা
এখন অনুবাদ করো ঘন্টাধ্বনি
সিক্ত
খঞ্জনার ভেতর কতগুলো সমাহার রাধানাথ
0 মন্তব্যসমূহ