মনের মধ্যে অনন্ত জিজ্ঞাসাই মানুষকে অন্যান্য প্রাণীর থেকে আলাদা করেছে। সভ্যতার আদিম লগ্নে ভৌগোলিক দূরত্ব ও যোগাযোগের কোনও মাধ্যম না থাকা সত্ত্বেও কী করে যেন চিন্তা চেতনায় ও আচরণগত ভাবে মানুষের সম্মিলিত ভাবনা একই রকম ভাবে প্রবহমান ছিল। প্রকৃতির শক্তির কাছে পরাজিত হয়ে গাছ, পশু, পাখি অথবা পাথর তাদের আরাধ্য দেবতা হয়ে উঠল। ভয়, কৌতূহল, কল্পনা মিশ্রিত হয়ে পুরাণ বা কাহিনীর জন্ম দিল। সমাজতত্ত্ববিদ, নৃতত্ত্ববিদ, ধর্মীয় ইতিহাসবিদেরা তা গবেষণার মাধ্যমে সেই সব কাহিনীর ঐতিহাসিক সত্যতা ও দর্শন ভাবনার বিষয়ে আলোকপাত করেছেন। বেশিরভাগ কাহিনী অবাস্তব হলেও তা একজন মানুষের দ্বারা রচিত নয়। সম্মিলিত ভাবনা চিন্তার ফসল। সভ্যতা ও পুরাণ অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত। এই সব পুরাণ কাহিনীর উচ্চ মার্গের দর্শন আমাদের নতুন সাহিত্য রচনায় সহায়ক। অনেক সময় প্রামাণ্য নথির অভাবে ইতিহাস মাইথোলজিতে পরিণত হয়। যিনি লেখেন তাঁর সময়ের উপযোগী করেই লেখেন। পাঠক কিন্তু সময় অনুযায়ী তার ব্যাখ্যা করবেন। পুরাণ হলেও তার প্রাসঙ্গিকতাকে ধরতে চেয়ে এই সংখ্যার পরিকল্পনা ও প্রচ্ছদ ভাবনা পুরাণ।
পুরাণের নির্মাণ ও বিনির্মাণ বিষয়ক রচনা প্রাধান্য পেয়েছে এই সংখ্যায়। অন্যান্য নিয়মিত বিভাগসহ এই সংখ্যার প্রচ্ছদ ভাবনায় এই প্রথম একটি উপন্যাসও প্রকাশ করছি। এবং ওয়েবজিনে বড় লেখা পড়ার অসুবিধার কথা মাথায় রেখে কয়েকটি পর্বে প্রকাশ করছি। পাঠ শেষে এবং সইকথার পাঠকদের কাছ থেকে তাদের মূল্যবান মতামত আশা করি ।
শীলা বিশ্বাস
১৯/০৬/২০২২
8 মন্তব্যসমূহ
পড়লাম দিদি । খুব ভালো লাগলো দিদি সমৃদ্ধ পূর্ণ লেখা । এগিয়ে চলুন দিদি
উত্তরমুছুনধন্যবাদ
মুছুনবেশ গুছিয়ে লেখা এডিটরিয়াল। ভালো লাগলো।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ
উত্তরমুছুনভালো লাগল
উত্তরমুছুনধন্যবাদ
উত্তরমুছুনলেখাটি ভালো হয়েছে ।
উত্তরমুছুনখুব সুন্দর সম্পাদকীয়।
উত্তরমুছুন