ভোরের সূর্যকে দ্বিখণ্ডিত করে ফেলেছি
আর সেই ভগ্নাংশ দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছি দিন
পিঁপড়েরা চলে যাচ্ছে লাইন দিয়ে
সেই ভাগ বুঝে নেয় প্রান্তিক জন
কোথায় থামাবো
কেন, প্রশ্ন ফিরে ফিরে আসে
কুয়াশার মধ্যে ফিরে যায় মানুষ
সকালে বৃষ্টি হলে দেখি
সন্ধ্যা জুড়ে কুয়াশার দাপাদাপি
রোদ খুব ঝরঝরে হয়ে পড়ে না বারান্দায়
কুয়াশা ভেদ করে যে চাঁদের আলো পড়ে
জুতো রাখা সিঁড়িতে
আর মোহময় নয়
খুব পাতলা
গায়ে জল
নিভে যাওয়া কাঠের উনুনের মতো আলোয়
ঘিরে আসে চারপাশ
সবাই ফিরে
গেছে
ঘরে
পাখিরা ঢুলছে
ঘুমে
চলেছি
রাত সাড়ে দশটার রাস্তা ধরে
পথ ফাঁকা
শীত, খুব শীত জমেছে চারিদিকে
আঁশের মতো কুয়াশা চোখের পাতায়
গায়ে চাদর তার নীচে বছর কুড়ি আগের
মায়ের হাতে বোনা শেষ সোয়েটার
আর হাতে ব্যাগ
কিছু হজমি বড়ি আর লজেন্স
সারাদিনের অবশিষ্ট যা কিছু পড়ে আছে
আমার গলা ধরে এসেছে
পাঁচিলে পাঁচিলে ঘষ্টাচ্ছে শব্দের শরীর
কেউ মুখ বার করবে না,তবুও
যদি কেউ
যদি বিক্রি
হয়
অবশিষ্টাংশ
শীতে সবাই গুটিয়ে নিয়েছে
অপ্রাসঙ্গিকতা
জানি, সব জানি
তবুও এই পাগলামি
এই শহর ভাবছে আমি পাগল
ওই ভিতরে বসে থাকা মানুষেরা ভাবছে
নাহলে এই শীত রাতে এই ধরে যাওয়া গলায় কেউ চেল্লায়
হজমি বড়ি আড়াই
টাকা, লজেন্স আড়াই টাকা...
এই শহর জানে না আমার
পেটের বহর
ওই মানুষেরা জানে না
সবাই অনেক কিছু ভাবতে পারে
কিন্তু, আমাদের এই তিনটে পেট যে শীত মানছে না
0 মন্তব্যসমূহ