কোনো শিল্পই তো অনুকরণ চায় না । কবিতার কাছেও আমাদের নতুনত্ব প্রত্যাশা থাকে । তবে সেই নুতনত্ব একদিনে আসে না । আবহমান কবিতা কিছু চিহ্ন রেখে যায় প্রতিটি দশকেই। আমাদের এবারের প্রয়াস শূন্য দশক এবং তার পরবর্তী সময়ের কবিদের প্রবণতা কিছুটা বুঝে নেওয়া। কবিরা ( সাহিত্যিকরা) সময়কে ধরেন, আর এটাও খুব সত্যি যে, সময়ের দ্বারা কবিরা প্রভাবিত হন। বর্তমান মুক্ত আন্তর্জালিক পৃথিবীতে কবিরা নিজেদের ক্রমাগত পাল্টে নিচ্ছেন আধুনিক জীবন যাপনের অনুষঙ্গে। কবিতা বলার ভঙ্গিও তাতে নতুন হচ্ছে ক্রমশ। আমরা সেই ক্রমপরিবর্তমান প্রবণতাকে কিছুটা হলেও চিনে নিতে চাইছি, তাদের কিছু কবিতায়। একবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত যে সকল কবিরা লিখলেন অর্থাৎ এই কাল খণ্ডের কবিদের কিছু কবিতার বাকশস্য নিয়ে আমাদের এবং সইকথার আয়োজন । সম্ভবত বুদ্ধদেব বসুই প্রথম বাংলা কবিতায় দশক ভিত্তিক কবিদের কবিতা নিয়ে কাজ করেছিলেন । তবে এই সংখ্যা, ওয়েব পত্রিকা ও তার সম্পাদকের প্রসারিত হওয়ার সীমাবদ্ধতা নিয়ে অসম্পূর্ণ একটি প্রয়াস বলে যেতে পারে। কবির নামের পাশে কোনো দশক লেখা হল না এবং এবং সইকথার সচেতন পাঠক জানেন কে কখন লিখতে শুরু করেছেন বা পরিচিতি পেয়েছেন। আমরা কয়েকজন বিশিষ্ট কবি ও আলোচকের কাছে আমাদের এই সংখ্যার কবিতা প্রকাশের আগেই পৌঁছে দিয়েছিলাম এবং তারা শূন্য ও প্রথম দশকের কবিদের কবিতা নিয়ে তাদের গদ্য পাঠিয়েছেন। সেগুলি এখানে অসম্পাদিত ভাবে প্রকাশ করলাম । সঙ্গে পত্রিকার নিয়মিত ধারাবাহিক বিভাগ। আশা করি পাঠক ও বন্ধুরা আমাদের এই যাত্রার সঙ্গী হবেন।
প্রকাশিত
হল এবং সইকথার “শূন্য ছুঁয়ে’ বিশেষ কবিতা সংখ্যা অর্থাৎ ডিসেম্বর ২০২১, দ্বাদশ সংখ্যা ,তৃতীয়
বর্ষ । পড়ুন ও আপনাদের মূল্যবান মতামত দিন।
শীলা বিশ্বাস
২৪/১২/২০২১
ছবি ঋণ:সুবল দত্ত
4 মন্তব্যসমূহ
যথার্থ সম্পাদকীয়।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ বন্ধু।
উত্তরমুছুনখুব সুন্দর ও প্রাঞ্জল সম্পাদকীয়
উত্তরমুছুনধন্যবাদ দাদা। আমার শ্রদ্ধা জানবেন।
উত্তরমুছুন