দুটি কবিতা
অদ্ভুত এক জন্মফুল
কুচুরিপানার ফুলে লেগে আছে অস্তিত্বের ঘুম
দু'হাতে স্বপ্নের ছাপ, কারও প্রেম কারও রাত, খুন
ক্রমশ শীতল জলে স্বচ্ছতার, অথচ রক্তের
শরীর জানে না; মৃত্যুর কোনো বিকল্প ঘ্রাণ নেই!
তবুও মাথার খাঁজে, চোখের গোলাপে
গাঢ় এক
অলৌকিক দৃশ্যাবলী বয়ে যায়, সমূহ প্রস্তাবে...
কী হবে জীবন বুনে?
জন্মই বা কেন শীতরাতে,
ঘেমে ওঠে বোঝে না অলীক; শুধু প্রচণ্ড সে হাসে...
একটি পরাবাস্তব সিনেমার দৃশ্য
ঘ্রাণের ভিতর এক সময় কেঁদে ওঠে স্নায়ু। সিনেমার সেই দৃশ্য
নিয়ে মাংসের তেমনি নড়াচড়া। আর বিষণ্ণতার দু'একটি শব্দ খেতে মন্দ লাগেনি তখন। তখন
আকাশের গায়ে কোটিবছরের প্রজাপতি ও বিশ্বাস। থমকে দাঁড়ায় বেগুনি রঙের সব হাড়ের
আহ্লাদ! রক্ত কী ঘুমের হাতে রাখা মর্গের ঝুমঝুমি? মিশে গেলে সমস্ত দৃশ্য আমাদের
কাঠে, আগুনে আর আদরে মুছে যায় ক্রমশই...
0 মন্তব্যসমূহ