দুটি কবিতা
১
বীতংস
নীচু নীচু ভয় আধেক বৈষ্ণবভাবে
আকাঙ্ক্ষা ভেজায়
আত্মার মতো প্রগাঢ় প্রার্থনায়
শিরাফেরা
শূন্য মাধুকরী
কবিতা বুঝতে গেলে
কবিতা পড়ার অভ্যাস রপ্ত
করতে হয়
আহতপাগলের মতো মাথা খুঁড়তে
হয়
কবিতার
পায়ে
ভেঙে যাওয়া টুকরোয় আঙুল
ও মুদ্রা জানায়
আয়নার আনুপূর্বিক বিষাদ,
অযথা মান
অপমান মানবো না বলে যার
কেটেছিল
বাইশটা বছর, কেটে যাবে
আরো দশ
অবাধ্য হলেও মেয়েটিকে হত্যা
না করেই
স্ব-স্ব স্থানে ফিরে যাবে
বরুণ-অগ্নি-যম
দশ গ্রাম কলমি শাকসমেত
ভাত
বেড়ে দেবে
মথুরা নারী
মাথুর হবে শান্ত সমারোহে
ডুমুরপাতায় টাল খাবে কোকিলের
ডিম
সৈরিন্ধ্রী
আহা ভালোবাসি বলে
নেপচুনে যাব।
বিয়ন্ত মেয়েমানুষের মত
জনম এয়োতি হব।
আহা ভালোবাসি বলে
ধৈর্য বেড়ে যাবে বহুগুণ
জন্মান্তরে গঙ্গাজলী দিয়ে
অভিরাম তিলোত্তমা হব।
আহা ভালোবাসি বলে
নিজেকে নারী নাম দেবো।
পানের বরজে দুধের ঢল
কতদূর যাবে সোঁদা গায়ে
আহা ভালোবাসি বলে
নিরাকার আমি বালিশ পাতব
আহা ভালোবাসি বলে
নিজেকে অদেয়
আমার কিছুই নেই।
1 মন্তব্যসমূহ
"বিতংস" বানানটা একটু দেখে নেবেন। "শিরাফেরা" শব্দের অর্থ কী ? ভাবছিলাম দশ গ্রাম কলমী শাক ঠিক কতটুকু হবে?
উত্তরমুছুন