কবি অকবির ভিড়ে কবি পিছিয়ে বহুদূর চাঁদ এসে আলো কিনে যায় কবির অগোছালো বারান্দায়। বত্রিশটা ছেঁড়া পাতা কুড়িয়ে কবি উনুন ধরায়। বত্রিশ হাসি উলঙ্গ মেঘ এলোকেশী। ভাতের গন্ধ ভেসে আসে বাদল হাওয়ায়। বত্রিশ নাড়ি জ্বলে ওঠে আকাশে বিদ্যুৎ হুঙ্কার। কুব কুব শব্দে ডাকে একমনে কী যেন পাখি! বুকের আঁচল সরে যায়। বক্ষ বিভাজিকা নদীরেখা দূরে যেতে যেতে দৃষ্টিতে মিলায়। কবিতার জ্বরের ঘোরে তপ্ত রসনা। হাতের তালুতে কবি রুটি সেঁকে খায়।কবি ঘর সামলায় । কলম যা কিছু লেখে জীবন বোধ ছেঁকে ছেঁকে। রক্ত আর চোখের জল কবিতা লেখে মহাকাল। মনে পড়ে নর্দমার পোকার কথা, মনে পড়ে ঘোর অপমান। হিংসার পার্থেনিয়াম আগাছায় বাড়ে অনিয়ম।অবসাদ মেঘ বিষণ্ণ কবিতার ধানছড়া আঁকে। মৃত্যুর আগে পরে কবিতার স্থাপত্য নির্মাণ।
0 মন্তব্যসমূহ