বাংলা কবিতার আধুনিকতা প্রায় এক সঙ্গে জেগে উঠেছিল সেটা ১৯৭২-৭৩ সাল। বাংলাদেশের
কবিরা হঠাৎ আমাদের কবি হয়ে উঠেছিল। যুদ্ধের কারণে শামসুর রহমান আল মাহমুদ নির্মলেন্দু
গুণ মহাদেব সাহা বেলাল চৌধুরীদের ঠিকানা হয়েছিল কলকাতা।
তখন 'দেশ'ও 'অমৃত' দুটি সাপ্তাহিক পত্রিকা ছাড়া 'কবি ও কবিতা'পত্রাণু এবং রেডিও মাধ্যমে সাহিত্য বাসর শ্রবণী তথা বেতার জগৎ পত্রিকা ও আধুনিকতার দরজা খুলে দিয়েছিল আমাদের কাছে। আধুনিকতা বলতে কোর্সের বাইরের কবিতা পাঠ। দরজা খোলা ছিল তাই চোখে হঠাৎ আসা আলো লাগেনি।
'দিন আর রাত্রির মাঝখানে পাখি ওড়া ছায়া
মাঝে মাঝে মনে পড়ে আমাদের শেষ দেখা শোনা'
পত্রাণুতে যখন পড়েছিলাম;অন্যরকম চেতনা জেগে উঠেছিল সঙ্গে সঙ্গে কিছু বলার
প্রবণতা 'দিন আর রাত্রির মাঝখানে পাখি ওড়া ছায়া'একটাও অচেনা শব্দ নয় কিন্তু অনুভূতিটা
সুনিতা উইলিয়ামস প্রেরিত নামল ছায়া ধরণীতে ধরনের একটি ভিডিও প্রথম দেখি যখন আমার
এই কবিতাটির কথা মনে এসেছিল! যদিও কবিতার নাম 'যৌবন' বলা-বাহুল্য শিরোনাম ও একটি আস্ত
কবিতার রাজধানী।
'তুমি আমার ভাই।তুমি সামনে রাখো আমার
নিঃস্ব অবসান
তুমি আমার ভয়। তুমি হাত থেকে নাও হাতে
গোপন পরিচয়"
এই কবিতাটি ও পড়েছি। কোথায়? কবি ও কবিতা পত্রিকায়! এই ছড়ানো শব্দের
ভেতর কখনো হঠাৎ থেমে পরের ধাক্কায় নিচে নামিয়ে মাত্রা যতিচিহ্নের ভেতর শূন্যতা যা
পরে কবিতার ইঞ্জিনিয়ারিং-এ শিরোনাম পেয়েছিল । আমাদের ভাবতে সাহায্য করেছিল ভাষা বদল
, ভঙ্গিবদল যা তার কাছে ই ছিল ওই তিয়াত্তরেই পড়েছিলাম পত্রাণু অথবা কবি ও কবিতা পত্রিকায়।
"আকাশ ভরে আছে ভস্মে
দেবতাদের অভিমান
এইরকম।"
অথবা বলছি এই জন্য যে তিয়াত্তর সালের ' এক বছরের শ্রেষ্ঠ কবিতা' যা মণীন্দ্র
গুপ্ত রঞ্জিত সিংহ সম্পাদিত বই থেকে গ্রহণ করেছিলাম তাই । কিন্তু আদিম লতাগুল্মময় যা
আমার অধীত পাঠ্যবই তার সঙ্গে সময়ের সম্পর্ক কবিতাটির নয় তথাপি সহজের মধ্যে জটিল এর
বিস্তারিততাতে প্রবেশ করেননি কিন্তু একটি আবহ তৈরি হচ্ছিল ভিতরে ভিতরে।
এই ১৯৭৩ সালের 'এক বছরের শ্রেষ্ঠ কবিতা'য় তার আধডজন কবিতার মধ্যে আরও দুটি
বিখ্যাত কবিতা পেয়ে যাচ্ছি যা পরবর্তীতে কথাবার্তায় সংবাদপত্রের শিরোনামে পর্যবসিত
হবে:
হাতের উপর হাত রাখা খুব সহজ নয়
সারাজীবন বইতে পারা সহজ নয়
একথা খুব সহজ, কিন্তু কে না জানে
সহজ কথা ঠিক ততটা সহজ নয় (সঙ্গিনী)
অন্য কবিতাটির নাম 'মানে'
কোন যে মানে নেই, এটাই মানে
বন্য শুকর ই কি নিজেকে
জানে?
বাঁচার চেয়ে বেশি
বাঁচে না প্রাণে"
আদিম লতাগুল্মময় প্রকাশিত হয়েছিল এপ্রিল 1972 সাল অরুণা প্রকাশনী থেকে
।পূর্ণেন্দু পত্রীর প্রচ্ছদ।দাম সাড়ে তিন টাকা ।এখানে বলার যে একই সময়ে প্রকাশিত
আনন্দ পাবলিশার্সের বই 'প্রভু, নষ্ট হয়ে যাই 'শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের এবং সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের
আমার স্বপ্ন' বের হয় ওই বই দুটির দাম 3 টাকা। এখানে 50 পয়সা মাত্র মনে হলেও কিন্তু
'দেশ'পত্রিকার দাম তখন পঞ্চাশ পয়সা। বার্নপুর থেকে আসানসোল ভাড়া পাঁচপয়সা ,আসানসোল
থেকে পাণ্ডবেশ্বর পঁচিশ পয়সা।ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এই ভাড়া মান্য ছিল।
এই বই য়ে 'সত্যি বলার মানে ' এখানে ওই সময়ের একটি সূচক পেয়ে যাই ।
মানের সত্যি মানে
খুঁড়তে খুঁড়তে
পথের মধ্যে
হঠাৎ
কৌটো ঝাঁকায়:নিদেন পক্ষে
দশটা নয়া হবে মশাই?
রক্ষে করুনবলতে বলতে
চলতে থাকি ,,এ দুর্ভিক্ষে
সত্যি কি আর
সত্যি বলার মানে আছে।"
চল্লিশের কাছাকাছি এসে' সত্য বলা' তার নিজস্ব জীবনবোধের যে বিচ্ছুরণ তা
শুধু কবিতা নয় ' শ্রেষ্ঠ কবিতার' ভূমিকায় প্রবলভাবে দাগ দিয়ে দেন:
'সত্যি বলা ছাড়া আর কোন কাজ নেই
কবিতার'
আদিম লতাগুল্মময়' গ্রন্থের ব্যাক কভারের ছোট্ট বিবলিওগ্রাফি তাতেও অনুরূপ
ছাপ "তীব্র আবেগস্পৃষ্ট অথচ অন্ত:সংহত তার কবিতা বেদমন্ত্রের মতো নিটোল ও ব্যাপ্ত-
সুদূরতম বিভিন্ন অনুভূতির পরিপূরক।"
পাথর-দল - চিতা চার ফর্মাল বইয়ে তিনটি সাদা পৃষ্ঠা দিয়ে বিভাজিত।এই যে
পাতার পর পাতা ছোট ছোট মন্ত্রের মতো কবিতা তারপর দু পিঠ সাদা সাদা একটি পৃষ্ঠা দাঁড়িয়ে
পড়ে সামনে চেতনার ভেতর জ্বালিয়ে দেয়- চিতা ।
আরো পাঁচ বছর পর অর্থাৎ তের শ চুরাশি সালে 'কবি ও কবিতা' পত্রিকায় কবি
ও রহস্যময় আড়ালের পন্ডিত গীতা চট্টোপাধ্যায় লিখছেন "চিতা" কবিতাটি নিয়ে:
"এযুগের গভীর মিথ্যা ভাষণের মধ্যে জেগে উঠেছে কবিতা: 'আজ সকাল থেকে
কেউ আমাকে সত্যি কথা বলেনি'। 'সকাল' সেই সহজ আরম্ভ কাল থেকেই।' কেউ না' । আরো একবার
ভালো করে দেখে নেওয়া হলো। কেউ না । সবকিছু ভীষণ সত্যের মুখোমুখি করে দেওয়া যাক তবে
এবার:' চিতা জ্বলে ওঠো' ।সবশেষের সবচেয়ে সত্য ' চিতা'। সেই নিরপেক্ষ আগুনে বিভাবিত
হয়ে গেছে সব সত্য ।'সকলেরই চোখ ছিল লোভে লোভে মনিময়' । আর 'মুখে ফোটে খই ' কথা
কথা ,অজস্র অবিরল মুখে ফেনা ওঠা কথা এবং সবই মিথ্যা কথা।দ্বিতীয়বার আহ্বান ' চিতা,জ্বলে
ওঠো ' । প্রথমবার অভিমানে দ্বিতীয়বার ক্রোধে। এবার আগুন ভালো মতো জ্বলে উঠেছে এবং
চারদিকে ও। ভয়ার্ত চাপা কন্ঠ ' যা পালিয়ে যা'। পালাবার পথ নেই।' যা পালিয়ে যা'
/বলতে বলতে বেঁকে যায় শরীর। শরীরে আগুনের ক্রিয়া, বেঁকে যায় শরীর' । তৃতীয় বার
আহবানে মাঝখানে ভেঙ্গে যায় বাক্যবন্ধ- চিতা /একা একা এসেছি গঙ্গায় /জ্বলে ওঠো।'
নিঃসঙ্গ বেদনা,একা একা এসেছি গঙ্গায়' চিরস্রোত গঙ্গা-এইদিকে প্রবাহ নিমজ্জন,
একাকিত্ব,সত্য উপলব্ধি। 'এই দিকেই 'জ্বলে ওঠো'। বিকল্প 'অথবা চণ্ডাল/যেভাবে চাও সমীচীন
ছাই মাখা নাচ'।প্রবাহিনীর সত্য, না ওই ভস্মলিপ্ত ভূতনৃত্য? 'সমীচীন'-যা সংগত বিবেচনা
করেছে চণ্ডাল, শ্মশান প্রভু, সেভাবেই দেখাল এ যুগের ছাইমাখা নাচ'।
আদিম লতাগুল্মময়' যে কবিতা গ্রন্থের নাম, আমরা এই প্রথম দেখলাম একটি কবিতার
মধ্যবর্তী বা অন্তর্বর্তী শব্দমালা- চোখের সামনে পর্দার মতো দুলতে থাকা দুটি অক্ষরের
শব্দ 'দল' সেই কবিতার অংশ:
এই খোলা দুপুরে তোমার মুখে ধরেছি বিষের ভাঁড় তুমি খেয়ে নাও
এই খোলা দুপুরে তোমার মুখে ধরেছি বিষের ভাঁড় তুমি খেয়ে নাও
আমার চোখের সামনে তোমার পতন হোক আদিম,লতাগুল্মময়"
এই দল বারবার কলম ধরিয়েছে। উনি সপ্রাণ প্রতিবাদ করে গেছেন চিরদিন সেই সত্তর
থেকে আজ অবধি ।কখনোই উচ্চকিত নয় যদিও কবি জয় গোস্বামী যাকে বলেছেন 'সংকেতে সংকেতে'বার্তা
জানায়।
"অস্থির সময়ে, আক্রান্ত হবার দিনগুলোয় বড় প্রয়োজন একজন সংবেদনশীল
অবিভাবকের। মাথার মুকুট অথবা শিরস্ত্রাণ খুলে যার সামনে নতজানু হয়ে বুঝে নেওয়া যায়
সময়ের ভাষা। সংকেত বয়ে আনে সে ভাষা। ' সংকেত' কি প্রত্যক্ষ প্রস্তাবনা বয়ে আনে না?
এই বইয়ে 'স্লোগান' কবিতা যদি ফিরে পড়ি:
কথা কেবল মার খায়
না কথার বড়ো ধার
মারের মধ্যে ছলকে ওঠে শব্দের সংসার।"
কথার মার যে কত তীব্র আমরা গত ২০১৮-১৯ সালে ও তো দেখেছি, দেখছি! কেঁপে উঠছে
সংবাদপত্রের শিরোনাম।
তখনও আঞ্চলিক ভাষার কবিতার প্রচলন হয়নি অথচ আঞ্চলিক ভাষা প্রয়োগ করে
' কলকাতা' কবিতা লিখেছিলেন।লক্ষণীয় তখনো ব্যবহারিক জীবনে 'কলিকাতা' " কলকাতা"
হয়নি । উনি কিন্তু 'কলকাতা' শিরোনামেই কবিতা লিখেছিলেন, আঞ্চলিক বলা উচিত কিনা জানিনা
কিন্তু কবিতা।
কইলকাতার লাশে
যার দিকে চাই তারই
মুখে আদ্যিকালের মজা পুকুর শেওলা পচা ভাসে
অ সোনা বৌ আমিনা
আমারে তুই বাইন্দা রাখিস ,জীবন ভইরা আমিতো আর কলকাতায় যামুনা'।
অশ্রুকুমার শিকদার
এই কবিতা প্রসঙ্গে বলেছিলেন কলকাতায় যামুনা' আসলে কবির হয়েই কথা বলা । তিনিও তো এই
শহরে 'ছদ্মের সংসারে' কানামাছি হয়ে আছেন, এক একটা দিন চলে যায় ,দিনশেষে হিসেব করে
দেখা যায় সকাল থেকে কেউ সত্য কথা বলেনি ।চোখে লোভ মুখে শুধু খই ফোটে। শহুরে বাবুদের
নজর মসৃণ মসলিনে প্রমোশন পেয়ে যাওয়ার দিকে।
হায়রে প্রনতিপাত
সবই বরাত
সবই তো বরাত জোর
পীর
পয়গম্বরেরা বড় বেশি
মুশকিল-আসান । দেশি বা বিদেশি
মহাসোর
সব মুখে গাজনের ভিড়।'
এই যে 'দল' এই যে নেতা-মুশকিল আসানের পাসপোর্ট যাদের হাতে। এখনও 'দেশহীন'তায়
সারি সারি মুখ, আজো কি সেই মুখের রোরুদ্যমান ভিড় কম কিছু ?
'আমার মুখে অন্তহীন লাঞ্ছনার ক্ষত
আমার বুকে পালানোর পালানোর আরো পালানোর দেশজোড়া স্মৃতি
তাই আজ যদি দুহাতে তুলতে চাই অভয়
কেঁপে যায় হাত,...(দেশহীন)
'কথা' যেহেতু কম তাই কথার দম ও দাম দুটোই বেশি ।'আমার অল্পই যাওয়া আমার
অল্পই কথা বলা এবং ফলতঃ 'আমার অল্পই কথা আমার অল্পই শ্রোতা পাওয়া '
সংকেত প্রসঙ্গে 'আসব আবার 'একা' কবিতাটিকে ঘিরে ।
কী ছিল বয়স কী ছিল হৃদয়,তখন
, পদ্মা আমাকে দিয়ে দিয়েছিল বিদায়
আজ মনে জানি তুমি
নও তুমি নও
আমিই আমাকে ছেড়েছি
মধ্যরাতে।'
এই উদ্বাস্তু জীবন
- দেশহীনতা এই আত্মবিনাশী ক্ষণে কী নিসর্গের কথা মানায় রূঢ়তা,ক্রুরতা, হিংস্রতা লোভ
এসব ও তো ছিলই কিন্তু বলার কি আছে ?সবাই তো জানে ।তাই
"আমিই আমাকে ছেড়েছি মধ্যরাতে'
কি মর্মন্তুদ সংকেত!
মনের কথাকে কত করুণভাবে সংকেতের সহযোগী করে নিয়ে যেতে হয়েছে।
আদিম লতাগুল্মময়' বইটি প্রকাশ হবার কাছাকাছি সময়ে কটি গদ্যের বই বের
হয়' নিঃশব্দের তর্জনী' ছন্দের বারান্দা ,সকালবেলার আলো ,ওকাম্পোর রবীন্দ্রনাথ ' আমাদের
মন জুড়ে তখন 'ভোম্বল সর্দার' ' বাবুই বাসা বোর্ডিং' ' সকাল বেলার আলো' আমাদের সেই
সুপুরিবনের সারির স্বাদ ও স্মৃতি দিয়েছিল । তার পরবর্তী দুটি বই আমরা অনেক পরে পেয়েছিলাম
কিন্তু এই গদ্য লেখা নিয়ে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় যা মন্তব্য করেছিলেন তা এখানে স্মরণযোগ্য
।যদিও আমরা ভেবেছিলাম' এক দশকে সংঘ ভেঙে যায়' কবিতাটি লেখার জন্য সুনীল মনে মনে ক্ষুব্ধ
হবেন কিন্তু আমাদের ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছিল। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় লিখেছিলেন:' নিতান্ত
বাধ্য না হলে আমি সাহিত্য বিষয়ক প্রবন্ধ পড়িনা। কিন্তু আবু সয়ীদ আইয়ুব এর পর শঙ্খ
ঘোষের প্রবন্ধই আমাকে সব সময় আকৃষ্ট করেছে। একসময় আমার আশঙ্কা হয়েছিল বেশি প্রবন্ধের
চাপে এই চমৎকার কবির কবিতা না হারিয়ে যায় ...কবিতা সব সময় আসে না তখন ক্লাসিক বিশ্লেষণ
করাই কবিদের প্রকৃষ্ট কাজ। শঙ্খ ঠিকভাবেই এগিয়েছেন"।
এই বইয়ের নতুন সংযোজন
হয় বাংলা বইয়ের উৎসর্গ পত্রের বয়ানে
'বন্ধুকে, যে আর বন্ধু নেই'
বলাই বাহুল্য এই শিরোনামে মৃদুল দাশগুপ্ত সহ বেশ কয়েকজন কবি নিজস্ব কবিতা
লিখেছিলেন, সেটাও একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
১৯৭২ সালের এই বইটির সূত্রে কত বই চোখের সামনে চলে এলো। এই বইয়ের অনুষঙ্গ
হিসেবে।যা এসেছে তাই তুলে আনার চেষ্টা করলাম অকিঞ্চিৎকর পাঠক হিসাবে ।কিন্তু তাকে নিয়ে
শেষ কথা বলার জন্য ধার নেব সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি ছত্র:
"সাম্প্রতিক ঘটনাবলী এবং আদর্শ ভ্রষ্টতার জন্য তার ক্ষোভ ও বেদনা ছড়িয়ে
আছে সমস্ত কবিতায় ।আমি ছবি আঁকতে পারি না, তবু একটা কলম নিয়ে শঙ্খ ঘোষের মুখখানি
আঁকবার চেষ্টা করি সাদা কাগজে । আঁকিবুকি দেখে কেউ কিছু বুঝবে না। কিন্তু আমি তাঁর
মুখ খানি স্পষ্ট দেখতে পাই"।
তথ্য সূত্রঃ
জয়ের শঙ্খ।জয় গোস্বামী।প্রতিভাস
অনুষ্টুপের শঙ্খ ঘোষ বিশেষ সংখ্যা।১৯৯৪।
গদ্য সমগ্র। গীতা চট্টোপাধ্যায়।আদম।
--------------------------------------
ছবি ঋণ: গুগল
0 মন্তব্যসমূহ