দুটি কবিতা
১)
উপরে উঠেছে জল
বহুদিন পর জল উপরে উঠছে
আজ। নিচ থেকে শব্দ পাচ্ছি তার
ঢেউ ছিল না। উজান ছিল
না। জলজরা ছিল খুব নিথর। কাচের
শরীরে
আঁকা। প্রাণহীন। পুকুরচুরিও তারা সহ্য করেছে। পাথর
পৃথিবীর গর্ভে আজ
তাপমাত্রা সীমা ছাড়িয়েছে। পাথর স্থিরতা
হয়তো গলে গেছে। ফেটে
বেরোবার মতো যথেষ্ট যন্ত্রণার হুঙ্কারের ভাষা
সংগ্রহ করেছে। মহাশূন্যে
উঁচু নিচু বলে কিছু নেই। মনে পড়ে গেছে
এখন পামীরে জল
লীলাময়। মুহূর্তে আকার নেয় , মুহূর্তেই আবার
ভেঙে পড়ে মিছরির
দানা। এতো যে তারল্য তার, এতো যে মিষ্টতা
স্মরণে ছিল না তার
নিজেরই। এখন সে ঝাঁপ দেবে নীল শূন্য থেকে
মাটির প্রবল
অহংকারে। মাটিও বুঝেছে জলে মিশে যেতে হবে। প্রলয়
২)
অদৃশ্য রেকর্ডিং
রাস্তাকে,জানি,
প্রতিদিন আত্মপরিচয় দাও তোমার পায়ের স্পর্শে
ছবি পুরনো হলে মানুষ তা
দেখে না আর।মুখ ঘুরিয়ে নেয়। চায়
সবই যেন নতুন হয়ে
আসে। অথচ পুরনো শক্তিতেই সে ঘ্রাণ নেবে
সেই কত যুগ আগে
প্রপিতামহের চোখের বিস্ময় থেকে জন্মেছিল
এই রাস্তা। কত পথচারী,
চোর-ডাকাত ,পর্যটক, অন্বেষণকারী এলো গেল
ঘরের ও বাইরের নৌকোয়।
সময়ের অদৃশ্য রেকর্ডিং-এ ধরা আছে
দরজা খুলে তুমি না
দাঁড়ালে সূর্য ওঠে না।দিন শুরু হয় না। এতো
বড় বড় সব শহরের নগর মিথ্যে
হয়ে যায়। কবে এক ভাস্করের মতিচ্ছন্ন
নিষ্প্রাণ পাথর ছেনে
তোমাকে বানাল, সেই শুরু হল সর্বনাশ
আজও অব্যাহত। গাছে গাছে
এতো ফুল, অমলিন রাখছ যুগে যুগে
1 মন্তব্যসমূহ
দুটি লেখাই সুন্দর। ভীষণ ভালো লাগা রইলো।
উত্তরমুছুন