তাঁতবন্ধন
ভেতরে ভেতরে বিষাদের ডুবজল,
সামান্য রঙিন হলে ম্রিয়মান সুতোকে জাগাই
তাঁতঘর কতকাল চুপ করে আছে!
একই শাড়ি বারবার পরি,
একবার রোদ মাখি, একবার জল,
কুয়াশা জড়ালে বুঝি অঙ্কে কোথাও ভুল ছিলো।
টের পাই আটপৌরে শাড়িটির গায়ে
কিছু পুরোনো অহঙ্কার লেগে আছে।
লৌকিকতার দিব্যি,
তার শতচ্ছিন্ন রঙ-জ্বলা সুতো
পুনর্নিমানের (বন্ধনের) লোভে ছায়া ফেলছে তাঁতে...।
যেসব রঙের সঙ্গে চেনাজানা ছিলো,
তারা এহাত সেহাত ঘুরে অকাল ঋতুর মোহে আটকে পড়েছে।
টানা ও পোড়েন থেকে পিছলে যাচ্ছে সকাল, দুপুর,
বুঝতে পারি শুধুই বিকেলে জমছে তন্তুতে তন্তুতে।
0 মন্তব্যসমূহ