দুটি কবিতা
ক্ষত চিহ্নের পাশে
এক আঘাত চিহ্ন ক্ষত হতে হতে পেরিয়ে যায় সুদীর্ঘ টানেল
গুহা চিত্র জুড়ে নিশাঘোর
পরিপাটি সংসার ছেড়ে যাবার আগেও
ঠিক করছ আরামের কুশন, বেসিনের পাশে রাখা টাওয়াল, নিশ্চিত ঘুমের বড়ি
একবার চোখ পরে আরশিতে
মায়াবী শরীরে ঢেউ তুলে দেখে নিচ্ছ সময়
দেখে নিচ্ছ জমা অভিমান.
প্রবল ঝড়ে উড়ে যায় নিরুদ্দেশের চিরকুট
হেঁটে যায় শরীরের ভেতর শরীর
তড়িৎ গতিতে ভিজছে অনুষঙ্গ
জমা জলে নৌকা দিকভ্রান্ত
ক্ষত মুছতে আঘাত হানছে অবিরত
আশ্রয়
ভেবেই নাও কিছুটি হয়নি কোথাও
কোন রাস্তায় পথ হারায়নি সন্ধাতারা
গলির মুখের তর্কাতর্কি চলছে রোজের মতন
কিছু সময় চাইছে অন্ধকার নিভে যাওয়া আলোয়
আলোর স্তম্ভ দীর্ঘশ্বাস এঁকে
ছড়িয়ে যাচ্ছে শহরের অলিগলি
ঝর উঠেছে... বৃষ্টি হবে তুমুল
নদীর বুকে তুমুল মাতামাতি
আধ খাওয়া চাঁদের মুখে অসমাপ্ত আদরের গ্লানি
আজই ঝরের রাতে অভিসারে
খুঁজে পেলাম উত্তাপের গভীর
যাকে একান্ত আশ্রয় বলে জেনেছি
সে পথ তোমার বুকের বাঁদিক বরাবর