তিনটি কবিতা
দু'আঙ্গুলে ছিঁড়ে আনি মৃগ পদ্মনাভী
আমি তো আর
গোঁসাই নই
কেউ বাড়িতে
এলে দিই প্রানীভুক চা
একখানা অন্তত
ল্যাড়ি বিস্কুট।
আমি তো কোন
গোঁসাই নই
বাড়িতে অতিথি
এলে নাভীপদ্ম
দু'আঙ্গুলে ছিঁড়ে আনি মৃগ পদ্মনাভী।
এখন কেউ কাছে
আসলে ভীষণ ভয় হয়,
দোপাটির
পাপড়ি ঝরে পড়ে উঠোনের ঘাসে।
শব্দের মিল
খুঁজি অহোরাত্র -
গোলাপের
বৃন্ত ছুঁয়ে ধমনীর শিথিল বাঁধনে।
বিশল্যকরনী
লতায় লাউডগা সাপ,
ভাসানের আগে
কিম্বা পরে তুমিও কি চক্রান্ত লুকিয়ে রেখেছো গোঁসাইয়ের মতো?
গাঙ্গচিল
ফিরে যায়
ছিঁড়ে গেছে
কবিতার পাতা
গাঙ্গচিল
নক্ষত্র বিজয়ের আগে
গলার পৈতায়
রেখে গেছে সমুদ্র সঙ্গম।
ভিখারির
পায়ের ঘায়ে ফুটে থাকে
ঘাসফুল
দুপুরের রোদে।
চিত্রার কপালে
জ্বলজ্বল করে ওঠে সিঁথির সিঁদুর।
ভাঙ্গা
টাইপরাইটার পরে আছে জ্যোৎস্নার নিচে,
কবিতার পাতা
ছিঁড়ে গাঙ্গচিল ফিরে যায় সমুদ্র শাসনে।
পয়মন্ত রোদের
বাকলে জলছবি রং মেখে
টেবিলে পড়ে
থাকা ঘাম চুষে নিয়ে,
এঁকে রাখে
পাখিদের চোখ।
ভারতের
মানচিত্র শুধু পড়ে আছে গলিটার মুখে,
ভারতের
চিত্রপট আঁকা আছে গলিত শরীরে।
ছিঁড়ে খাবে অসভ্য মানুষের দল
আয়ু বড়জোর আর কয়েকটা দিন,
চলো এই ফাঁকে চুপচাপ পরমান্ন খেয়ে আসি কুলিকের বনে।
সারাটা শহর চুপচাপ নিঃশব্দে নিশ্বাস ফেলছে এখন।
সবকিছু হারিয়ে শেষে কুলিকের মরা চরে
নৈঃশব্দ্যিক অনুভবে বেড়ে ওঠে স্বর্নলতা মৃতের শরীরে।
রাতচড়া পাখির কান্নায় সারারাত শ্মশানের পোড়া কাঠে জেগে আছে
মৃত্যু উপত্যকা,
মানুষ শোনেনি বারন, অকারণ মৃত সঞ্জীবনী
হাতে নিয়ে ফেলে গেছে আমলকি বনে।
এত অন্যায় করার পরেও কেন ইস্তাফা দিচ্ছোনা তুমি,
তুমি তো নিজেই জানো এরপর ছিঁড়ে খাবে অসভ্য মানুষের দল।
তোমারও আয়ু বড়জোর টেনেটুনে আর কয়েকটা দিন।
কেউ দেখার আগেই চলো চুপচাপ পরমান্ন খেয়ে আসি কুলিকের বনে।
কেউ বুঝতেও পারবে না তোমার সম্পদ রাখা আছে তোমারই উঠোনে।
কেঁদে যাক আপন পুরুষ,
ছিঁড়ে খাক শরীর বল্কলে রাখা নির্লজ্জ বোকা মেধাগুলো।
এখনো সময় আছে ইস্তাফা দিয়ে একাকি ফিরে যাও চন্দনের বনে।
আয়ু বড়জোর আর কয়েকটা দিন,
চলো এই ফাঁকে চুপচাপ পরমান্ন খেয়ে আসি কুলিকের বনে।
তু হি ন কু মা র
চ ন্দ