সম্পাদকীয়
সমস্ত পৃথিবীই
যখন কোয়ারান্টাইন সেন্টার তখন পরিযায়ী ভাবনার ফিরে আসার ঘর থাকে না।অসংখ্য ভাইরাস ধেয়ে
আসছে,
কোথায় যাই? এক
একটা সময় আসে যখন নিজেকে ছিঁড়ে খুঁড়ে দেখার সময় তৈরি হয়। বিগত তিনমাস আমরা সময় কাটালাম বন্দি জীবনযন্ত্রণা
আর দোলাচলের মধ্যে।কে কোথায় আছে, কীভাবে আছে তার কিছুটা আঁচ মিডিয়া, নিউজ পোর্টাল বা
বিভিন্ন সাইটে দেখলাম।স্বাভাবিক জীবনে
কবে ফিরতে পারব জানি না। যে যার নিজের মত করে ডিপ্রেশন কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি , অনেকেই সমর্থ হলেও কেউ কেউ তা পারছেন না। এবং তার পরিণাম কী ভয়ঙ্কর হতে পারে তাও
দেখছি... নিজের জন্য নিজের প্রিয় সময় খুঁজে পেলাম
কি? প্রিয়
সময় কতটা আরাধ্য ? কতটা উদ্বুদ্ধ করছে ? কতটা উৎকৃষ্টতা দিচ্ছে ? এই ভাবে যদি ভাবি
ভাবনার প্রিয় পাখিটা উড়াল দিচ্ছে কিনা । আমি সেই পাখিটা হয়ে উঠতে পারছি কিনা। এই
জায়গা থেকে যখন সম্পাদকীয় লিখতে বসি ভালো মন্দের দোলাচল। এটা কি ভালো সময় লেখার
জন্য ? আসলে ভালো বলতে কি বুঝি? লিখন
কর্মের সঙ্গে যারা যুক্ত, লিখন কর্মের সঙ্গে যারা পৃক্ত হতে চাইছি , আমরা যারা পরিযায়ী ধর্মে অভ্যস্ত যেভাবেই
হোক আমরা ভিড়ে থাকতে চাইছি, মানুষের কাছে সেই ভাবনার ডালি নিয়ে পৌঁছাতে চাইছি তা
কতটা সুচারু হল। আমাদের ওয়েবজিনের ভর কেন্দ্রে থাকে কবিতা। যিনি লিখতে আসছেন এটা
ধরে নেবো না যে তিনি খুব ভালো লিখবেন. কিন্ত ভালো কিছু করতে চাইছেন। যিনি শস্য
উৎপন্ন করেন তিনি এখন স্তব্ধ হয়ে বসে আছেন। এই বসে থাকা কি আরও এক শস্য উৎপাদনের
নামান্তর? যেখানে প্রকৃতি আরো প্রকৃতির ভিতর নিমজ্জিত সেখানে মানুষের স্থায়িত্ব বা কলা ইত্যাদির স্থায়িত্ব
কতটা। আমাদের এই সংখ্যার
লেখার মধ্যেই সেসব উত্তর খোঁজা যাক...
শীলা বিশ্বাস
২৮/০৬/২০২০
শীলা বিশ্বাস
*প্রচ্ছদ ঋণ: ইন্টারনেট/গুগল সার্চ