সাম্প্রতিক

6/recent/ticker-posts

দীপ্তেন্দু জানা



ইচ্ছেপূরণ  


উসখুস করছে টগরীর মন তখন থেকেই। রতনকে যতক্ষণ না কথাটা বলতে পারছে তার মনের এই ছটফটানি শান্ত হবার নয়। কিন্তু তার বরের ঘরে ফিরতে ফিরতে সেই রাত। অপেক্ষা করতেই হবে অগত্যা। তাই সে করকরে দু'হাজার টাকার নোটগুলো বারবার গুনতে লাগল।এতগুলো টাকা একসঙ্গে কখনো দ্যাখেনি টগরী। দেখবেই বা কী করে? রতন হকার। ট্রেনে ট্রেনে দিলখুশ ব্যাচে। তার কতই বা রোজগার! এতগুলো টাকা একসঙ্গে দেখে রতন যে কতখানি অবাক হবে,সেটা ভেবেই টগরীর ঠোঁটের কোনে হাসি এল।  

কিন্তু এই টাকাগুলো দিয়ে সে কি করবে ভেবে উঠতে পারছিল না। আচ্ছা একখানা সোনার হার গড়ালে কেমন হয়,  টগরী ভাবল। আল্পনার গলায় যেদিন প্রথম সোনার হারটা দেখেছিল, সেদিন থেকেই তার সাধ একখানা সোনার হারের। যেমন তেমন হার নয়, ঠিক যেরকম সোনার হার আল্পনার গলায় দেখেছিল হুবহু সেই রকম সোনার হারই তার চাই। কত আর পড়বে? হাজার কুড়ির বেশি নয় নিশ্চয়ই!ভাবতে ভাবতে টগরী আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়াল। সে দেখতে পেল আয়নার ভেতরে যে টগরী দাঁড়িয়ে আছে, তার গলায় ঝলমল করছে আল্পনার মত একখানা সোনার হার। নিজের খালি গলায় হাত বুলিয়ে টগরী হারটাকে অনুভব করার চেষ্টা করল।

পরমুহুর্তেই সে ভাবল একখানা ফ্রিজও কিনবে সে এই টাকায়। যেমন তেমন ফ্রিজ নয় ঠিক যেমন ফ্রিজ আল্পনার ঘরে আছে হুবহু সেই রকম। দুটো দরজা। রংটাও গোলাপিই চাই। বারো-চোদ্দ হাজার হলেই হেসে খেলে হয়ে যাবে। নিজের ঘরের চারপাশে তাকিয়ে টগরী ঠিক করে নিল কোন জায়গায় ফ্রিজটা রাখবে। এই মুহূর্তে সে যেন দেখতে পাচ্ছে তাদের ঘর আলো করে আছে গোলাপি রঙের একটা ফ্রিজ। সে দেখতে পেলো আর এক টগরী ফ্রিজের পাল্লা খুলে বরফশীতল ঠান্ডা জলের বোতল বের করে খাচ্ছে। ফ্রিজটা এখনো কেনা হয়নি কিন্তু টগরী অনুভব করতে পারছে বরফ শীতল জলের স্বাদ। ঠিক যে স্বাদ পেয়েছিল আল্পনাদের ঘরে ফ্রিজের ঠান্ডা জল খেয়ে।

          টাকাটা যখন পাওয়াই গ্যাছে, টগরী ভাবল এই সুযোগে দীঘাটাও একবার ঘুরে আসা যাবে। আল্পনা আর তার বর হানিমুনে দীঘা গিয়েছিল। আল্পনার মুখেই টগরী শুনেছে ওদের হানিমুনের গল্প। কি মজাটাই না করেছিল ওরা। বর-বউ দুজনে গিয়ে সমুদ্রস্নান। বিয়ার -টিয়ার খেয়ে সারারাত দুজন দুজনকে আদর। কিন্তু টগরীর অনটনের সংসার। হানিমুন, দীঘা এই সবই তার কাছে স্বপ্নের মতো। কিন্তু আল্পনার মুখে দীঘার গল্প শোনার পর থেকেই টগরীরও দীঘায় বেড়াতে যাওয়ার খুব সাধ।কিন্তু এখন সে দীঘা যেতেই পারে। টগরী যেন দেখতে  পাচ্ছে দীঘার সমুদ্র। রতনের হাত ধরে সে চান করছে। লাফিয়ে লাফিয়ে ঢেউয়ের ধাক্কা খাচ্ছে। সে দেখতে পাচ্ছে হোটেলের রুম। সে দেখতে পাচ্ছে অন্য এক টগরী  রতনের সাথে বিয়ার খাওয়ার পর রতনের আদরে রাতের বিছানায় ছটফট করছে। ভেবেই লজ্জায় টগরীর কান লাল হয়ে উঠল। 


      সাধ থাকলেও এতদিন  টগরী এই সব ইচ্ছেগুলোকে সন্তর্পনে চেপে রেখেছিল। রতনকে বলে উঠতে পারেনি। কারণ সে জানে এইসব সাধ পূরণের সাধ্য রতনের নেই। কিন্তু আল্পনার বরের বাঁধা দোকান। বিক্রি বাটাও ভাল। তার রোজগার পাতিও মন্দ নয়। তাই নিজের ঘরে ডেকে আল্পনা যখন তার সোনার হার দেখায়, ফ্রিজ থেকে ঠাণ্ডা জল বের করে খাওয়ায়, কিংবা ওর হানিমুনের গল্প করে টগরী কিছুটা যেন কুঁকড়েই থাকে। আল্পনা আর টগরী প্রায় সমবয়সী। এক পাড়াতেই থাকে। মেয়ে হিসেবে মন্দ নয় আল্পনা।তবে একটু যেন ডাঁট আছে ওর। সেই ডাঁঁটের কাছে টগরীর যেন নিজেকে ছোট মনে হয়। 

আজ রতন বাড়ি ফিরলে ওকে বলবে না-পূরণ হওয়া ইচ্ছেগুলোর কথা। একটা সোনার হার, ফ্রিজ আর দীঘা বেড়িয়ে এসেও যে টাকাটা বাঁচবে তাই দিয়ে সে রতনকে বলবে একটা পাকাপাকি দোকান দিতে। ঠিক আল্পনার বরের মত।রতন নিশ্চয়ই রাজি হবে। কদ্দিন আর হকারি করবে? যা দৌড়ঝাঁপ। তাছাড়া টাকাগুলো তো আর টগরী চুরি করেনি। এই সবই যখন ভাবছিল হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠল। কি করবে টগরী স্থির করে উঠতে পারছিল না। মোবাইলটা বেজে বেজে নিজেই একসময় চুপ করে গেল। কয়েক সেকেন্ড পরে আবার ফোন। এবার ফোনটা সুইচ  অফ করে দিল টগরী। আর ফোনটাকে সুইচ অফ করে দেওয়ার পরই টগরীর মনে হল কাজটা ঠিক হচ্ছে তো? আল্পনার মুখটা মনে পড়তেই সে মোবাইল আর টাকাটা পলিথিনে মুড়ে ব্যাগে ভরে রেখে ট্রাংকে চাবি দিয়ে দিল। আর তর সইছেনা তার। রতন যে কখন ফিরবে.....

রাস্তায় যেতে যেতে মিষ্টিমুখ করুন। নিজে খান। অন্যকে খাওয়ান। বাড়ির জন্য নিয়ে যান। দিলখুশ। গরম গরম দিলখুশ। পাঁচ টাকা। দশ টাকা। ট্রেনের কামরায় কামরায় ঘুরতে ঘুরতে সারা দিনের শেষে এখন রতন ক্লান্ত। বাজার ভালো নয়। মেরেকেটে শ'খানেক টাকাও তার রোজগার হয়নি। তাই সে শেষ লোকালটার অপেক্ষা করছে। যদি আর কিছু বিক্রি বাটা হয়। 
        খিদে পাচ্ছে। কিন্তু শেষ লোকাল না ঢোকা পর্যন্ত প্ল্যাটফর্মে সে অপেক্ষা করবে। শেষ লোকালটাকে স্টেশনে ঢুকতে দেখেই রতন উঠে দাঁড়াল। ভালোই ভিড় আছে দেখে রতন খুশি হলো মনে মনে। কিন্তু এক কামরা থেকে আরেক কামরায় ঘুরে ঘুরেও লাভ বিশেষ হল না। একটা গোটা ট্রেনে ভিড় ঠেলে ঠেলে মাত্র তিরিশ  টাকার বেশি মাল বিক্রি করতে পারল না সে। মনটা তাই তিতকুটে হয়ে গেল তার। 

রতন যখন ঘরে ফিরল ঘেমে-নেয়ে একসা। জামা-প্যান্ট ছেড়ে হাত -পা ধুয়ে  বসতে না বসতেই টগরী রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে এলো। তার হাতে ধরা প্লেটে গরম গরম চাউমিন। টগরী চাউমিনটা খুব ভালো বানায়। ঘরে আত্মীয়-স্বজন এলে সে চাউমিনই নিজের হাতে বানিয়ে খাওয়ায়। তাই খেতে খেতে রতন জানতে চাইল, "ওবাড়ির কেউ এসেছিল বুঝি?" ওবাড়ি মানে  টগরীর বাপের বাড়ি। রতনকে জানালো, "না, ও বাড়ি থেকে কেউ আসেনি।" রতন বলল, "তাহলে?"


"আজ এমনি এমনি ইচ্ছে হলো চাউমিন করি তোমার জন্য। তুমি তো পছন্দ কর। তাই।" এই কথা শুনে রতন বলল, "খামোকা এত বাড়াবাড়ি করতে গেলে কেন? অভাবের সংসার জানোই তো।" রতনের কথা শুনে টগরী রিনরিনে গলায় বলে উঠল, "অভাবের সংসার তো কি হয়েছে? আমার কি ইচ্ছে হয় না তোমাকে একদিন চাউমিন করে খাওয়াই?"  রতন টগরীর মুখের দিকে তাকিয়ে ভুরু নাচিয়ে বলল, "কি ব্যা-পা-র? আজ এত খুশি?"  "ব্যাপার একটা আছে, " বলেই রহস্যময় হাসি ছড়িয়ে টগরী রান্নাঘরে সেঁধিয়ে গেল।ব্যাপারখানা যে কি আঁচ করে উঠতে পারল না রতন। সারাদিনের যা ধকল! খাওয়া শেষ করে সে বিছানায় নেতিয়ে পড়ল।

         নিজের খাওয়া শেষ করে রান্নাঘর গুছিয়ে-থাতিয়ে টগরী ঘরে এলো। ঘরে ঢুকেই সে কথাটা পাড়ল,  ' অ্যাই জানো, আমার অনেকদিনের সাধ একখানা সোনার হার গড়াই। ঠিক যেমন আল্পনা পরে। ওই রকম। গড়িয়ে দেবে তুমি?'  'সে তো অনেক টাকার ধাক্কা গো! আমার কি আর অত টাকা আছে?' অসহায় ভাবে রতন বোঝানোর চেষ্টা করলো টগরীকে। টগরী কি আর জানে না সংসারের হাল! তবুও সে বলল, 'জানো, আমার ইচ্ছে একখানা ফ্রিজ কিনি। যেমন আল্পনাদের আছে। আমাদের ঘরটা কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগে।' রতন তো এতদিন ভাবত তার বউ খুব বুঝদার মেয়ে। তাহলে আজ সে এত অবুজের মতো আব্দার করছে কেন? রতনকে চুপ করে থাকতে দেখেও টগরী বলল, 'অ্যাই শুনছো, আমরা তো হানিমুনে কোথাও যাইনি। আল্পনারা হানিমুনে দীঘা গিয়েছিল। চলোনা আমরাও ক'দিন দীঘায় কাটিয়ে আসি। বাচ্চাকাচ্চা এসে গেলে তো আর যাওয়াই হবে না। কি গো, দীঘা যাবে?'

           টগরীর একটার পর একটা আকাশকুসুম আবদার শুনে মনটা রতনের খারাপ হয়ে গেল। সে ভাবল, টগরীর এইসব চাওয়ার পেছনে তো কোন অন্যায় নেই। স্বামী হিসেবে সে আর কতটুকুই বা সাধ-আহ্লাদ পূরণ করতে পেরেছে টগরীর? রতনকে চিন্তিত দেখে টগরী বলল,  'টাকা নিয়ে ভাবছো? কিন্তু আমি যদি তোমাকে টাকা দিই, তাহলে?' রতন অবাক হয়ে বলল, 'তুমি টাকা দেবে? কিন্তু তুমি অত টাকা পাবে কোথায়? লটারির টিকিট কেটেছ নাকি?'  'উঁহু, লটারি-ফটারি নয় গো মশাই।' বলেই টিনের ট্রাংকের চাবি খুলে কাপড়ের ছোট্ট ময়লা ব্যাগটা বের করে রতনের হাতে দিল। রতন ব্যাগটা হাতে নিতে নিতেই প্রশ্ন করল, 'এটা আবার কি?' 'আহা, দ্যাখোই না।' হাসতে হাসতে টগরী বলল। ব্যাগটা খুলেই একটা মোবাইল ফোন আর পলিথিনে মোড়া টাকার বান্ডিলটা দেখে রতনের মুখ থেকে রা বেরোল না। বিস্ময়ের ঘোর  তার এখনো কাটেনি। সে শুধু বলে উঠল, 'অ্যা-তো টাকা। কোথায় পেলে? '

        টগরীর কাছ থেকে সবটা শোনার পর রতন যেন বিশ্বাস করে উঠতে পারছিল না। তাই সে প্রশ্ন করল, 'ফোন আর এতগুলো টাকা সমেত ব্যাগটা তুমি কুড়িয়ে পেয়েছ? টোটোতে চেপে আসার সময়? পাশের সিটে?'  'হ্যাঁগো, গুনে দ্যাখো পুরো এক লাখ। এটা দিয়ে সোনার হার, ফ্রিজ, দীঘা ঘোরা স-অ-ব হয়ে যাবে। আর তোমার একটা দোকান দেবার ব্যবস্থাও হয়ে যাবে।' খুশীতে ডগমগ হয়ে টগরী বলল। সে সব কথায় কান না দিয়ে রতন বলল,  'কার টাকা এগুলো? কে ফেলে গেল ব্যাগটা?'  উত্তরে টগরী  বলল, 'কার টাকা জানিনা। আমরা কুড়িয়ে পেয়েছি যখন এ টাকা আমাদের। আর জানো, যে ব্যাগটা ফেলে গিয়েছিল দুপুরের একটু আগে সে দুবার ফোন করেছিল। আমি তাই ফোনটাকে সুইচ অফ করে দিয়েছি।' একটু থেমে আরও বলল, 'কপাল ভালো যে আমার চোখেই ব্যাগটা পড়েছিল! নইলে তো টোটোর ড্রাইভারটাই টাকাটা গায়েব করে দিত।' রতন বলল,  'সেটা ভালো বলেছ , কিন্তু ফোনের সুইচটা অফ করে তুমি মোটেও ঠিক করোনি। '

টগরী আবার টাকাসহ ব্যাগটা গুছিয়ে ট্রাঙ্কে রেখে দিল। কিন্তু দোটানায় পড়ে গেল রতন। টগরী তার বরের বুকে মাথা রেখে বলল,  'কালই টাকাটা নিয়ে যাবে তুমি। একটা সোনার হার গড়াতে দেবে আর একটা ফ্রিজের অর্ডার দেবে। ঠিক আছে? তুমি আগে দোকান টা দাও তারপরে না হয় দিঘা ঘুরে আসব।'

পরদিন ভোরেই রতন বেরিয়ে গেল হকারি করতে। রোজের মতন। রোজের মতো ক্লান্ত বিধ্বস্ত হয়ে রাতে যখন সে বাড়ি ফিরল, টগরী টগরী উদগ্রীব হয়ে জানতে চাইল, 'কি গো, সোনার হার গড়াতে দিয়েছো? কেমন ডিজাইন, হুবহু আলপনার মতই তো? আর ফ্রিজ টা ঘরে কবে দিয়ে যাবে? কালই দিয়ে যাবে তো? তাছাড়া তোমার দোকান দেবার ব্যবস্থা কিছু হল?' রতন কোন উত্তর দিচ্ছিল না। তবুও টগরী বলে চলল, ' দীঘায় গিয়ে কি মজাটাই না হবে! আমার আর তর সইছে না।'

রতন ভালোমতোই জানত ঘরে ফিরলেই টগরীর এইসব প্রশ্নের সম্মুখীন হতেই হবে তাকে। টগরীর খুশিতে ভরপুর মনটাকে ভাঙতে ইচ্ছে না করলেও সত্যি কথাটা না লুকিয়ে সে বলল, 'না গো, সোনার হার গড়াতে দেওয়া হয়নি। ফ্রিজের অর্ডারটাও দেওয়া হয়নি। দোকান দেবার ব্যবস্থাও করে উঠতে পারিনি।' শুনে টগরী যেন আঁতকে উঠল,  'সে কি? কেন? টাকাগুলো দিয়ে তাহলে করলে টা কি?'  'ফিরিয়ে দিয়েছি।' রতন জবাবে এর থেকে বেশি কিছু বলতে পারল না।  টগরী চেঁচিয়ে  বলে উঠলো এবার, 'ফিরিয়ে দিয়েছো মানে? কাকে?' ' যার টাকা তাকে।' রতন সংক্ষেপে জানাল।  কথাটা শুনেই টগরীর মুখ রাগে হাঁড়ি হয়ে গেল। খাওয়া দাওয়া  লাটে উঠল। মুখ ঘুরিয়ে চুপচাপ শুয়ে পড়লো বিছানায়। 

কোনমতে বুঝিয়ে বাজিয়ে টগরীকে নিয়ে এসেছে রতন আজ। রাগে এখনো মুখ ঝুলিয়ে রেখেছে সে। টগরী মনে মনে ভাবল,এ তাকে কোথায় নিয়ে এসেছে রতন। এতো একটা নার্সিংহোম। নার্সিংহোমের রিসেপশনেই লোকটাকে বসে থাকতে দেখে রতন বলল, 'আপনার স্ত্রীর অপারেশনটা হয়েছে তো?' বোঝাই যাচ্ছে  লোকটার উপর দিয়ে ঝড় বয়ে গ্যাছে। টগরি দেখল লোকটা রতনকে বলল, 'হ্যাঁ, অপারেশনটা ভালোভাবেই হয়েছে। এখন আইসিইউতে আছে। কি বলে যে আপনাকে ধন্যবাদ জানাবো....বাড়িতে যেটুকু গয়নাগাটি ছিল সেটা বিক্রি করেই  কোনমতে টাকাটা জোগাড় করেছিলাম। ভাগ্যিস আপনারা টাকাটা কুড়িয়েছিলেন নইলে তো আমার স্ত্রীকে বাঁচাতে পারতাম না।'

নার্সিংহোম থেকে বেরিয়ে রতন ভাববাচ্যে বলল, 'এখনো কি মুখ ঝুলিয়ে থাকা হবে?'  টগরী উত্তর দিল না রতনের কথায়। শুধু মনে মনে বলল, 'কাজটা তুমি ভালোই করেছো। এখন আর আল্পনার থেকে নিজেকে ছোট বলে মনে হচ্ছে না।'



দীপ্তেন্দু জানা