তিনটি কবিতা
জানি, আপনার বুঝতে অসুবিধা
হচ্ছে।
আপনি
নির্ণয়
করতে
পারছেন
না
অনির্বাণ
নারী
অথবা
পুরুষ
নাকি
দুমড়ে
মুছড়ে
যাওয়া
কোনো
মহাজাগতিক
অরণ্য।
আমি
আর
তুমি
অসংখ্য
হয়ে
দাঁড়িয়ে
থাকা
যাত্রি।
একটু
ভাবুন,
দেহ
এক
অপহৃত
সামুদ্রিক
উচ্ছ্বাস।
আর
মন
এক
অনির্ণীত
ব্যাঙ্গমা
ব্যাঙ্গমি।
জানি,
আপনার
বুঝতে
অসুবিধা
হচ্ছে।
আপনি
নির্ণয়
করতে
পারছেন
না
আগুন
কোনো
দিগন্তের
উপসংহার
হতে
পারে
না।
সময়
এক
অদ্ভূত
দ্রোণাচার্য—পথ।
ধনুকের
মতো
বেঁকে
যাচ্ছে
পুরুষ।
তাহলে
শুনে
রাখুন
অনির্বাণ
এক
থেতলে
যাওয়া
নারীর
আলোকরশ্মি।
অনির্বাণ
এক
নারীর
সম্মুখ
যুদ্ধাস্ত্র।
বন্দী কবিতার শরীর
আঁতকে
উঠবেন
না।
দরজা
খুলুন।
সমস্ত
পা
উঁচু
করে
শূন্যে
দাঁড়িয়ে
আছেন
স্বয়ং
বিনয়
মজুমদার।
তাঁর
হাতে
কোনো
ভিক্ষাপাত্র
নেই।
চোখেমুখে
এক
উজ্জ্বল
সারস।
পরনে
বিষন্ন
কবিতার
চাদর।
উড়ুতে
বিগত
শতকের
অভিমান।
আপনি
দ্রুত
খুলে
দিন
দরজা।
তিনি
জানেন
অপেক্ষার
শব্দ।
তিনি
জানেন
ঘাড়
থেকে
মাথা
গড়িয়ে
পড়ার
শব্দ।
তিনি
অনুভব
করেছেন
মানুষ
বেঁচে
থাকার
শব্দে
নিথর
শুয়ে
থাকে
দীর্ঘকাল।
খুলে
দিন
বোধনের
দরজা।
খুলে
দিন
উথাল–পাথাল
করা
বন্দী
কবিতার
শরীর।
কবি
নিজের
হাতেই
মাটি
মেখে
বিশ্রাম
নেবেন
আগামীর
দেহে।
চিঠি
শোনো, তোমাকে যে কথাটা
বলা
অবশ্যম্ভাবী
হয়ে
পড়েছিল
বলে
আমি
ছায়ার
পিছু
নিয়েছিলাম
সেদিন।
যে
কথাটা বলবো
বলে হঠাৎ
দাঁড়িয়ে পড়েছিলাম
একটা হত্যাদৃশ্যের
মাঝখানে। যে
চিন্তার শেষ
থেকে উঁকি
দিচ্ছিল একটা
সম্ভাব্য গাছ।
সেটাকে মাঝপথে
আটকে দিল
ওরা। ওরা
আমাকে চিনতে পেরেছিল বলে তৎক্ষনাৎ আমার হাতে
থামিয়ে দিয়েছিল একটা রক্তাক্ত চুম্বন। আমি কোনো
কিছু বুঝে ওঠার আগেই চুম্বন থেকে প্রবল
শব্দে লাফিয়ে উঠলো আগুন। তুমি তো জান আগুন
আমার তালিকার শেষতম চিৎকার। আমি চিৎকার করতে
পারিনি। আমি বলতে পারিনি এই প্রশ্ন আমার
ধর্ম–তালিকার বাইরে। তোমাকে যে কথাটা বলবো বলে
আমি ভিজিয়ে নিচ্ছিলাম আমার ধর্মহীন ঠোঁট সেই
মুহূর্তেই ওরা আমার ফুসফুসে গুঁজে দিল হত্যাকান্ডের
কারণ। সকল প্রত্যক্ষদর্শীরা পরদিন আমার পেছন পেছন
হেঁটে আসছিল তুমি পর্যন্ত। সেদিন প্রথম দৃষ্টিপাত
করেছিলে প্রান্তের পিঠে।
রবিন বণিক