এক
পিরামিডে কোজাগরী চাঁদ
ইতিহাস, পাঠপ্রতিক্রিয়ায়
ঝুলে থাকা দীর্ঘজীবী মৃত্যু
নিরেট আলোর বর্ণনায় বিনির্মিত আমাদের ফ্যারাও
চেতনা
বাতাসের খাঁজে জন্মঘোর রেখে গেছে সময়
নশ্বরতা ঢেকে যাচ্ছে মমির স্থাপত্যে
চলে যাওয়ার অভিমান বাজে, ধ্বনির স্বপ্ন বাজে
নতুন খেলা সাজাবে বলে সমবেত মৃত্যুরা ডেকে
যায়
আনুবিস, আনুবিস-----
দুই
ফুটন্ত ভ্রমণ দেখেছে কীটের নিশ্চুপ কারুকাজ
সাহারার রোদ চিরে নাব্য নরম
অক্ষরের ক্লান্তিমাখা কথাসুগন্ধ, পাখিবিহীন মন
আঁকড়াতে আঁকড়াতে নখের ডগায় লেগে থাকা আকাশ
এমন তো কত কিছু অতিক্রম শেখে রোজ
চাঁদের চিতাভষ্ম গায়ে ঢেউ বদলায় গার্হস্থ্য মায়া
শেষ ট্রেনে ঘরে ফেরে ভূগোলের ইতিহাস
কিছু মিথ, কিছু জলবায়ু বদলায়
তবু ভুট্টা ক্ষেতের পাশে, খেজুর ছায়ায়
খানিক জিরিয়ে যায় মেঘ
বৃষ্টির মুখবন্ধ লিখে ফেলে মাটিবালিকারা
এর বেশী কি আর পূজনীয় জীবন ?
তিন
মরুপ্রসূত বৈরাগ্য। স্নেহপ্রবণ বাবা। দুহাতের আঙুল ধরে হাঁটছে সিনাই পাহাড় আর লোহিত সাগর। মাঝে কিছু গুল্মের প্রশ্রয়। আকাশ কিছুটা মৃদু। পেরিয়ে যাচ্ছি। দূরে একটা শহর জীবন চটকাচ্ছে। উইন্ডমিলের বৃত্ত কি এক চক্রের কথা মনে করিয়ে দেয়। ছুটির কাচ ফাটিয়ে নিজস্ব ব্যুহবাস তোমাকে কোথায় পাঠায় অবসর ? অকাতরে ভাগ করে। প্রতি টুকরোর জড়তায় রাখে অভ্যেস মৌতাত। তুমি সন্ন্যাস থেকে তুলে আনো মায়া। তুমি মায়ার কোঁচড় খুলে ফেলে দাও অন্তর্গত বীজ। তোমাকে মন ভেবে শরীর ঢুকে যায়। তোমাকে শরীর করে মেধার খেলা খেলে প্রেম। পাহাড় সাগর একাকার করে লীন হই তুমি আমি। ভ্রমণ শেষ । সাহারা পড়ে নেয় নিভৃতি পিরান বিষের প্রত্যয় থেকে ফিরি। ফুলবাজার থেকেও। কোন ফেরাতেই সম্পূর্ণ আমি নেই।
অরণ্যা সরকার