আমাদের ছেলেমেয়েরা
ঠিক তখনই দরজাটা খুলেই মুখটা মিলিয়ে
গেল অন্ধকারে! আলো জ্বালেনি, কী হ’ল মেয়ের?
শীতে এমনিতেই উঠতে বেলা হয়ে যায়, তার উপর আবার শনিবারের রাত! রবিবার বেলা
পর্যন্ত ঘুমনো যাবে এই আছিলায়, সায়ন অনেক রাত জাগে। রিনির তো কাজ থাকে, সংসারের
কাজ! শনিবার রাত পর্যন্ত জেগে পরের দিন বেলা গড়িয়ে উঠলেও ঘুমের রেশ কাটে না। তবু,
অন্যদিনের তুলনায় দেরি করে হ’লেও নাই নাই করে তাড়াতাড়িই উঠে পড়তে হয় তাকে।
রবিবারেও। সায়ন তখন ভোঁস ভোঁস।
আইনক্সের শেষের বেলা। সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম তারপর বেলাশেষের সিনেমা,
দেখতে দেখতে চোখ জুড়িয়ে আসছিল রিনির। ইতিমধ্যেই বার দু-এক কর্কস আঙুলের খোঁচা খেতে
হয়েছে তাকে। শো ভাঙতে বাইরে বেরিয়ে সায়ন ঠিক ফুট কাটলো রিনিকে, এত ঘুম!
রিনি জানতো এমনটাই হবে, তীর্যক দেখলো সায়নকে। ডাকাত! সারাক্ষণ তো শুধু
ওয়াই-ফাই নিয়েই ব্যস্ত, আনলিমিটিমিটেড খুটখুট! খাটতে তো হয় আমাকে! এই ঠান্ডায়
শীতের রাতে ‘হলে’ সিনেমা দেখা, পোষায়?
মন্তব্যটা সায়ন নিজের দিকে ঘেঁসতে দিল না। ঘুরিয়ে বলল, কী ঘুম! কেট
উইনস্লেট’কে দেখেও কারও ঘুম আসে ?
উইনস্লেট? কে?
আরে টাইটানিক এর সেই নায়িকা! আশ্চর্য, ভুলে গেলে? সেই যে, জাহাজে লিওনার্দো
ডিক্যাপ্রিও যার ছবি আঁকলো? কী ফিজ়িক দেখেছো ?
এই কি সেই রোজ ?
ইয়েস, দ্যাট ‘রোজ’ অফ ‘টাইটানিক’ ইস নাউ ইন ‘দ্য রীডার’।
বয়স হয়ে গেছে।
তা তো হবেই, এটা টাইটানিকের কত পরের ছবি জানো ? টাইটানিক ১৯৯৭ আর দ্য রিডার ২০০৮।
কেট যখন সাতাশ তখন বত্রিশের এই চরিত্রে তার অভিনয়। ভাবা যায় ? অবশ্য
ছবিটাতে কেটের এই বোল্ড ফ্রন্টাল ন্যুডিটি নিয়ে অনেক কথা শুনতে হয়েছে তাকে ! বাট শি ইজ় স্টিল ফ্যাবুলাস!
তোমার তো খালি ঐসব ! সারারাত ঐ করবেন আর আমার ঘুম নিয়ে পোক্ করবেন! নিজে যে
বেলা দশটা পর্যন্ত ভোঁসভোঁস করলেন, তার বেলা?
আমি কি একাই ঘুমোই?
আজ্ঞে হ্যাঁ মশাই, আমি যখন উঠি তখন আপনার তা বোঝার অবস্থাই থাকে না। কনুইয়ে
জোরে একটা চিমটি কাটলো রিনি।
তা রাতে অত না জাগলেই হয় ?
মানে? চোখ বড়ো বড়ো হয়ে গেল রিনির। মাই গড! কী ডাকাতরে? সংসারের কাজও করবো
আবার অপবাদও শুনবো !
সায়ন ঠোঁটের হাসিটা লুকোতে লুকোতে একটু এগিয়ে ট্যাক্সির জন্য উঁকি দিল।
নামেই হার্ট অব দ্য সিটি ! রাত ন’টা বাজতে না বাজতেই অদ্ভুত বদলে যায়
কলকেতা শহরটা। মনেই হয় না যে এখানেই পোকামাকড়ের মতো ঘুরে বেড়ায় মানুষগুলো, দিনের
বেলায় !
শীতের রাতে ট্যাক্সি পাওয়া খুব শক্ত। কুয়াশা নেমে এসেছে। সোডিয়াম ভেপার
ভেঙে ভেঙে যাচ্ছে জমাট জলকণার প্রতিসরণে। খুব শীত। রিনি চাদরটা ভাল করে
টেনে নিল তার আঁটো শরীরে। একটা বোধহয় ধরে ফেলেছে সায়ন। যাওয়া না যাওয়া নিয়ে
বাকবিতন্ডা চলছে ট্যাক্সি চালকের সঙ্গে। রিনি পেভমেন্ট থেকে
নেমে রাস্তা সামলে দাঁড়ালো
ওদের সামনে। সামান্য অপেক্ষা করে নীচু হয়ে দেখলো
ট্য্যক্সি চালককে। সুন্দরী, সুঠাম শরীর
উজ্জ্বল রং মিষ্টি হাসল, চলুন না ভাই। মধুক্ষরা কন্ঠ তায় আঁটো চাদর জড়ানো ম্যাজিক,
নিমেষে কাজ হ’ল।
পঞ্চাশ এক্সট্রা লাগবে।
লাগুক, যে যেতে চাইছিল না সে যেতে তো রাজি হয়েছে ! ঠিক আছে, দেবো। রিনি
তাড়াতাড়ি উঠে বসলো গাড়িতে, উঠে এসো উঠে এসো তাড়াতাড়ি, ছেলে-মেয়ে দুটো কী করছে কে
জানে। বিড়বিড়িয়ে ঘাড় ঘুড়িয়ে চালককে বলল, চলুন।
সায়নও খানিকটা মন্ত্রমুগ্ধের মতো পা রাখলো গাড়িতে।
কাল থেকে অফিস, সকালে দুটোর স্কুল! দিনদিন স্কুলগুলোয় যা
ঘটছে! ক্লাস ফোরের দুটো ছেলেমেয়ে, ছেলেটি মেয়েটির গোপনাঙ্গে আঙুল, পেন্সিল প্রবেশ
করাচ্ছে, ভাবা যায় ? ওরা এর কী অর্থ বোঝে? তাহলে এই ক্রীয়াকর্মটি যে করা যায় তা ছেলেটি জানলো কী
করে? কোথায় যাচ্ছি আমরা? মেয়েটা বড়ো হচ্ছে। আনমনে এসবই ভাবতে ভাবতে সিঁড়ি ভাঙছিলো
সায়ন।
ততক্ষণে চারতলার ডোর বেলে আঙুল ছুঁইয়েছে রিনি। বারবার
ছোঁয়ালো। আধুনিক যন্ত্রে
সুমধুর শব্দ বেজেই চলেছে। রিনি কব্জি ওল্টালো, দশটা-দশ। দু’টোতে ঘুমিয়ে পড়ল নাকি? এত দেরি করছে? অস্থির হল সে।
ঠিক তখনই দরজাটা খুলেই মুখটা মিলিয়ে গেল অন্ধকারে! আলো জ্বালেনি, কী হ’ল মেয়ের? রাগ
হল? দেরি দেখে? চিন্তিত রিনি সভয়ে প্রবেশ
করল ঘরে। রিনির মেয়ে নিনি। ভাল নাম অনুসূয়া। বাবার নামে নাম।
ঘরে ঢুকে চটকরে আলো জ্বেলে হাতব্যাগটা রাখলো চেয়ারে। সায়ন ততক্ষণে আপনমনে
পেছন পেছন নিজ নিকেতনে ঢুকে সদর বন্ধ করে নিজের ঘরে গিয়ে তোয়ালে নিয়ে এটাচড
টয়লেটে।
রিনি মেয়ের ঘরে পা রাখলো। টেবিলের ওপর ল্যাম্প শেডের মৃদু আলো। সারা ঘরে
তার হালকা আভা। ল্যাম্প শেডের সামনে মেয়ে মাথা নুইয়ে চুপ করে বসে। সদ্য বারো’র
মাথা জুড়ে একরাশ কালো চুল চকচক করছে। বড় তাড়াতাড়িই বড় হয়ে গেল মেয়েটা, ভাবলো রিনি।
কিরে, ঘরে আলো জ্বালিসনি, ভাই কি ঘুমলো? চুলে বিলিকেটে জিজ্ঞেস করল মেয়েকে।
হঠাৎই একরাশ কান্না এসে ভেঙে পড়লো রিনির শরীরে ! বেশ ঘাবড়ে গেল রিনি,
দু-হাতে মুখটা তুলে চিন্তিত চোখে জিজ্ঞেস করল, কিরে, কী হয়েছে? অ্যাই, অ্যাই মেয়ে?
নিনি আবারও সজোরে মুখটা গুঁজে দিল দাঁড়ান মায়ের বুকে। ফুলে ফুলে কেঁদে ঊঠলো
শরীর। চুলের মধ্যে হাত নিয়ে মুখটা ঘুরিয়ে কপালে ঠোঁট ছোঁয়ালো সস্নেহে। কিরে, কি
হয়েছে কী?
অনেক কষ্টে, বুকের মধ্যে অনেকক্ষণ আঁকড়ে ধরে মেয়েকে শান্ত করলে, আস্তে
আস্তে ফোঁপানো কমে এল। অত্যন্ত চিন্তিত মুখে মেয়েকে নিয়ে ওর বিছানায় মুখোমুখি বসলো
রিনি। কিরে, ভাই ওঘরে তো? ভাই ঠিক আছে?
দু-চোখে জল মাথা নামিয়েই ঘাড় নাড়লো, হ্যাঁ।
তা হলে?
আবারও ফুঁপিয়ে উঠলো নিনি। তাহলে, তোর কী...? সময় নিল রিনি। দু-আঙুলে থুতনি
তুলে কপালের চুল সরিয়ে বলল, কিরে, তোর কি কিছু শুরু হয়েছে? আমাকে বল?
নিনি মাথা নাড়ল। না, ভাই!
ভাই? ভাইয়ের আবার কি হল? চিন্তিত রিনি। এ মেয়েকে ছেড়ে ছেলের
কাছে যেতেও তো পারছে না সে। ভাইয়ের কী? ভাইয়ের কি হয়েছে?
মায়ের গলাটা জড়িয়ে ধরে আবারও ডুকড়ে উঠল নিনি। ভাইটা ভীষণ, ভীষণ অসভ্য
হয়েছে...
ও এই কথা? একটু যেন স্বস্তি পেল রিনি, যাক
তেমন গুরুতর কিছু নয় তাহলে। স্মিত হেসে জিজ্ঞেস করল, কেন কি করেছে ভাই? পিঠে হাত
রাখলো মেয়ের।
আমি ভাইকে খুব মেরেছি, খুব মেরেছি...
ভুক করে হাসি এসে থেমে গেল গলার কাছে, এই
ব্যাপার? কেন, কী এমন অন্যায় করলো তোমার ভাই যে তোমাকে মারতে হল? তুমি তো কখনও
ভাইকে মারো না!
ভাই দুষ্টুমি করছিল, পড়তে দিচ্ছিল না
কিছুতেই। ওকে বকতে ও আমাকে ওর পাখিটা দেখিয়ে বলল, খাবে, খাবে? আমি ওকে খুব খুব মেরেছি
মা!
ভেতরের টয়লেটে তখন অঝোরে
জলের শব্দ। রিনির মেরুদন্ড বেয়ে শীতল ধারা। সমস্ত শরীর জুড়ে অবশ ভাব। আঙুলের
অগ্রভাগ প্রায় সারহীন। বীপ বীপ সতর্ক সংকেত মস্তিষ্ক জুড়ে।! বয়স যে মোটে ছয় পেরিয়ে
সাত, দুধের শিশু, ঝাঁ ঝাঁ করছিল মাথা। মেয়েকে ছেড়ে ধীরে ধীরে জানলার কাছে গিয়ে
দাঁড়ালো রিনি।
রাতের খাওয়া শেষ। উচ্ছিষ্ট সমেত থালা-বাসন
টেবিলে পড়ে। খেতে বসে রিনি একটাও কথা বলেনি। সায়ন দু-একটা প্রশ্ন করে শুয়ে পড়েছে
কম্বল মুড়ি দিয়ে। মেয়ে নিঃশব্দে দরজা ভেজিয়ে। রিনি ছেলেকে তুলে একুটু
দুধ-কর্ণফ্লেক্স খাইয়ে শুইয়ে দিয়েছে ফের। সায়নকে সে কোনও কথাই বলেনি। ছিঃ। দুধের
শিশু, আর কি বলেছে কে জানে? মাথা ভনভন করছে তার, আর ভাবতে পারছে না সে। সমস্ত রাগ
গিয়ে পড়ছে ঐ মানুষটার ওপর, অপদার্থ একটা!
রাত তখন প্রায় বারোটা। প্রচন্ড ঠান্ডায়
অঘোরে ঘুমোচ্ছে ছেলে কম্বলের ভেতর। রিনিও ছেলের পাশে কিছুক্ষণ আগেই শুয়েছে। ঘুমে
চোখ জুড়ে আসছে। মেয়ে শুয়েছে তার ঘরে। ঘরের দরজা বন্ধ। বিছানায় পায়ের কাছে জড়োসড়ো
সায়ন চাদর মুড়ি দিয়ে বসে, কর্ডলেস কীবোর্ড আর মাউস নিয়ে এটা-সেটা করে যাচ্ছে
মনিটরে। আজ শনিবার, কাল ছুটি। সেই হিসেবে সায়নের আজ অনেক রাত জাগার রুটিন। একটা নেশার
মত।
রিনির খুব ঘুম পেয়ে যায়। সারাদিন সংসারের
খাটুনি পর নিজে থেকে আর কিছু ইচ্ছে করে না। কিন্তু সায়ন ছাড়ে না কিছুতেই, ওর
ঘাঁটাঘাঁটিতেই ফের জেগে ওঠে ও। বিশেষ করে এই ওয়াই ফাই এর তাড়নায়।
সময় হলে, সায়নের ভাষায় একটা কিছু ভাল পেলে
রিনিকে খুঁচিয়ে তুলবেই রাত গভীর হলে। ছেলেটা অনেকক্ষণ থেকেই উচপিচ উচপিচ করছে।
কিরে জল খাবি? নড়ছিস কেন এত? রিনি হাত ধরে পাশ ফিরিয়ে দেয় ছেলেকে।
সায়ন ক্লিক করতে করতে বলে, দেখো হিসিটিসি
করবে কি না, নইলে আবার বিছানা ভেজাবে।
ওকে তুমি একটু নিয়ে যাও না টয়লেটে, আমার
আর উঠতে ইচ্ছে করছে না, প্লিজ। রিনি অনুরোধ করে সায়নকে।
সায়ন গজগজ করে ওঠে। আর সময় পাওনা, এখনই যেতে হবে আমাকে। ভাল্লাগে না।
না লাগুক, আমি আজ আর উঠছি না। চাপা ঠোঁটে পাশ ফেরে রিনি।
সায়ন কোনও মন্তব্য করে না। কীবোর্ড আর মাউস রেখে ছেলেকে তুলে গায়ে বুকচেরা
সোয়েটারটা গলিয়ে টয়লেটে নিয়ে যায়।
মেয়েকে একটু দেখে এসো, কম্বলটা ফেলে দিল কি না? রিনি শুয়ে শুয়েই নির্দেশ
দেয় সায়নকে। টয়লেট হলে ছেলেকে জল খাইয়ে
বিছানায় শুইয়ে কম্বল চাপা দিয়ে তাড়াতাড়ি মাউস হাতে বিছানার পায়ের কাছে চাদর মুড়ি
দিয়ে বসে পড়ে সায়ন। খানিক পরে ছেলেকে দেখে স্ক্রিন বদলায়। সাউন্ডটা মিউট করে। আরেকবার ছেলে ঘুমিয়েছে নিশ্চিত হয়ে কম্বলের ভেতর হাত ঢুকিয়ে
রিনির পায়ের আঙুল ধরে টানে। রিনি উঁ করে পা সরিয়ে
নেয়।
ছোট পর্দায় নীলছবি এখন শেষ। কিন্তু বড় পর্দার কন্ঠলগ্না নায়ক-নায়িকা এখন
ক্লান্ত। গভীর রাত। এ নিঃশ্বব্দ সময়ে নীলজ্বরে এবার ঘুম। কাল রবিবার, বেলা পর্যন্ত
শ্রান্তি।
পরিস্কার হয়ে দুজনেই শুতে এলে এক অদ্ভুত ব্যাপার লক্ষ্য করলো। ছেলেটা নেই।
কি ব্যাপার? মাথার দিকে ছেলে যেখানে শোয় সেখান থেকে কোন সময় লেপের ভেতর দিয়ে ছেলে
নেমে বিছানার পায়ের কাছে চলে গিয়েছে!
ছেলের মুখটাও দেখা যাচ্ছে না। কি করে? ও কি
এমনিই গড়িয়ে চলে এসেছে? অদ্ভুত! আগে কখনও
এমনটাতো হয়নি! তবে? বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠলো রিনির।
বুকের ভেতর ঢিপঢিপানি শুরু হয়ে গেছে। শঙ্কিত রিনি তাড়াতাড়ি কম্বল তুলে
ছেলেকে উদ্ধার করে। প্রথমই বোঝার চেষ্টা
করে ছেলে ঘুমিয়ে না জেগে? সায়ন পাত্তাই দেয় না ব্যাপারটাকে। দূর ছাড়তো, তোমার যত
ফালতু টেনশন! কোনও রকমে গড়িয়ে চলে এসেছে এধারে, বলে ঢুকে পড়ে কম্বলের ভেতর। রিনিও শ্বাস ফেলে ঢুকে
পড়ে আরামে। বেডের কাছেই রাতবাতির চাবি।
জানলার কাচ দিয়ে নীল আকাশ দেখা যাচ্ছে। কলকাতার আকাশ। স্বচ্ছ শীতের আকাশ,
তারা ভরা। এক রাতচরা পাখি উড়ে গেল নিঃশ্বব্দে। রাত কোন প্রহরে রিনি জানে না। শুধু
কানের ভেতর বাজছে এক কথা, আমি ওকে খুব মেরেছি মা, খুব মেরেছি...জানো মা ও যখন
আমাকে ওই কথা বলল, ওকে আবার খুব মারলাম। তখন ও আমাকে বললো, আমাকে মারছো কেন? মা যে
খায়?
কল্লোল দত্ত গুপ্ত