মৃত্যুচোখ ছিঁড়ে
ভোরের সব আলো ছুঁতে পারে না পাখির পালক। সকালের বাতাসও
নাড়িয়ে দিতে পারে না বৃক্ষের সব পাতা। বিশ্বের প্রতিটি প্রাণের ভেতরেই কিছু না
কিছু দুর্বলতা আছে।
একঃ দান করতে না পারার অক্ষমত।
দুইঃ গ্ৰহন করতে না পারার।
দাতা আর গ্ৰহিতার মধ্যে আমি অন্তত পূর্ণতা দেখিনি। মাঝের এই
শূন্যতাটুকুই হয়তো সঠিক মার্গের দিশা প্রদানের জন্যই নিছক এই ছলনা। আসলে যে
যেভাবে যতখানি নিতে পারে। আলো অথবা অন্ধকার।
পাখির ডানা খসে পড়লে আকাশের দায় কী?
সে তো উড়ান দেখতেই ভালোবাসে। উড়তে উড়তে পাখির যদি অপমৃত্যু
ঘটে, মহাকালের কী? নক্ষত্রের সাম্রাজ্য নিয়ে সে তো বেজায় খুশি।
কদিন আগে একটি কাকের মৃত্যু আমাকে যেন সাক্ষর করল হঠাৎ।
মেঘপরা চোখ সবসময় নিতে পারে না রোদের ভার।তাই কদমপাতার
ফাঁক দিয়ে দেখছিলাম সকালের ঝলমলে আকাশ। সহসা সামনের বৈদ্যুতিক তারে শক লেগে কাকটি
মূহুর্তে ছাই। একটা মিছিল হলো পাখিপাড়ায়। তুমুল চিৎকার। আকাশ বাতাস মাটি ঘাস শোক
পালন করল কিনা টের পেলাম না। আমি শুধু একটা কাকের ভেতর অনেক কাককে মরে যেতে
দেখলাম। সেই মৃত কাকের চোখের পাতা ছিঁড়ে বেরিয়ে আমি সর্ব প্রথম আমার কুঁড়েটা
দেখলাম। আকুল হয়ে খুঁজলাম কৃষক প্রজাপতির চরণ,আর সন্তানের মুখ--
খুকু ভূঞ্যা