এক দঙ্গল সবুজ ঘোড়া যাচ্ছে
ছুটে' পাহাড়-পুরে
নৈঃশব্দ্যের ধুলোর মতো ভৌতিকতা
বাজছে ক্ষুরে
জমাট সবুজ ভঙ্গিলতার নিবিড়
তরাই উপত্যকায়
রূপকথার এক পক্ষিরাজের লাফ শোনা যায় হাওয়ার পাখায়
ছুটছে দূরে দুঃসাহসী ধূসর
ধূমল শৃঙ্গশ্রেণী
টেক্কা দেওয়া ফুল্ল কেশর
কৃষ্ণ মেঘের মুক্ত বেণী
দূরে কোথাও দুর্বিনীত দেমাক
-ভরা বেহেড মাতাল
ধমক খেয়ে থমকে' আছে চক্রবালের
সমান্তরাল
রুক্ষ চূড়াও গ্রাস করবার
করছে ভীষণ গোঁয়ার্তুমি,
কোথাও বেঘোর ঘুমিয়ে আছে
পেয়ে চিরোল চারণভূমি ,
পাহাড়গুলোও ডিঙোয় পাহাড়
দৃশ্য বটে দেখার মতো
মুলুক-জোড়া তালুকটি তার
খেয়ালিপনার মজ্জাগত,
মধ্যপথে বিরুদ্ধ যেই টগবগিয়ে
ছোটার নেশা--
খণ্ড শিলার ঢিবির খোঁচে
দাঁত খিঁচিয়ে হাঁকছে হ্রেষা ।
পিঠের উপর শহরগুলোর নকশীকাঁথার
পালান চ'ড়ে
রূপ -সওয়ারী মানুষগুলো যাচ্ছে
বিভোর বল্গা ধ'রে
দৃশ্যরাজির, দারুণ পুলক-রোমাঞ্চিত
আকাশ-চেপে',
স্বভাব-ভীরু দিগবালিকা সান্ধ্য
শিখায় উঠছে কেঁপে
অস্পষ্ট দিগ্বলয়ে,পৃথিবীটাই
ওলটপালট
করার নেশায় উচ্ছ্বসিত অশ্বগুলো
ঘোর একজোট ।
ওলটপালট হচ্ছে অবাক মগ্ন
মনের সূপ্ত শিথিল
সমতলের অভিজ্ঞতার জাড্য-প্রবণ
বধির ফসিল,
উন্মোচিত হচ্ছে ক্রমেই নতুন
থেকে নতুনতরো
দিগন্ত যার বিচিত্রতায় বসুন্ধরা
যে কতো বড়ো !
অন্ধকারের কালো পিঠে উথলে'-ওঠা
শিলার ঢেলায়
চাঁদতারাদের লেপ্টে থাকার
নৈসর্গিক নীরব খেলায়
অঙ্কিত এক ঐশীস্তর ভারসাম্যের
শুদ্ধ চুমো,
দূর নীলিমায় ভর করেছে অভ্রভেদী
ভেলার ডুমো ।
মধ্যযামে উধাও মায়ার দিগভ্রান্ত
তেপান্তরে
ভয়ার্ত ঘোর হাঁকলো হ্রেষা
অমানিশার রুক্ষ ঝড়ে,
শীতের শহর চূড়ার চড়াই পেরিয়েই
সে পড়লো বুঝি
মুখ থুবড়ে ' ,থমকে ' গণি
অনিশ্চিত আয়ুর পুঁজি !
হাতড়ে' বেড়াই মগ্ন মনে ঘুমন্ত
ঘোর দৃশ্যের সংলাপ ;
বদরুদ্দোজা শেখু