অন্ন দাও
শেষ কবে চিঠি লেখা হল
কিছুটা ছাড়া ছাড়া, মেঘ মেঘ খেলা
শেষ কবে কনে দেখা আলো
পায়েসে ডোবানো সেই রূপোর চামচ!
রেখে দাও রেখে দাও দান
যতটা আলো আসে পুবের জানলা দিয়ে
সারা খাটে...ভেসে যায় দ্বীপ
ঋতুমতী গুল্মের অন্তিম অন্তরীপ!
তুমি তার কবচে নাম লেখো
সুখ নাও, দুখ দিয়ে দেখো!
রেখে দেবো যত্নে গোপনে...
যতবার লিখি নিঃশ্বাসে
থাকবেই , “রাত জাগোনি তো? খেয়েছ কি ঠিকঠাক?”
তুমি ততবার বাধ্য সন্তানের মতো
বলো,“ অন্ন দাও আলো।
আমি সেই ব্যর্থ প্রেম, যে শুধু যবনিকা টানি
সূর্যাস্তের অযুহাতে!”
তিনটে কুকুর ছানা
যতবার ছেড়ে দাও হাত, ভাবি
এই বুঝি ঝড় এল...
আলজিভে ব্যথা করে বড়!
জানলায় গিয়ে দেখি, সবই তো আছে
আগের মতো...আকাশে অক্ষত চাঁদ
শ্বেতপদ্মের আলো...
আমার পথের ধারে তৈরী করা নদী।
অথচ ভীষন হু হু হাওয়ায়
তোলপাড় চলে অশ্বত্থ গাছে
একটা মগডাল ভেঙে পড়ছে বাড়ির চালে
তবু যে সব স্থির?
হালকা হাওয়ায় শুধু
বারবার কেঁপে উঠছে তিনটে কুকুর ছানা…
রূপকথা
জানলার পাশে গুটিশুটি
শুয়ে আছে একটা কালো বেড়াল।
ওকে দেখে আমার ‘ সাইমন’ মনে পড়ে।
পর্দার ফাঁকে, হাওয়াই চটিতে গলিয়ে নিচ্ছে
কেউ থপথপে দুটো পা!
আমি সন্ধের পায়চারি সারি।
বাংলা সিরিয়াল দেখছে কত মা।
তুলসীতলায় শাঁখ বেজে ওঠে…
দুটো কুকুর,
পিছু নিয়েছে গুপ্তচরের মতো...
পাখিরা ছেড়ে যাচ্ছে আকাশ।
ধূ ধূ শূন্যতায় তারাগুলো ঠিক
দূরের স্ট্রিটলাইট…
সন্ধের আলো এসে পড়ে।
পাশে পাশে যেন গড়িয়ে আসছে
লাল উলের গোলা...
মায়ের মতো কেউ হয়ত টিভিতে মশগুল
সবর্না চট্টোপাধ্যায়