গুচ্ছ কবিতা
সম্পর্ক
কোনো কোনো
সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়,
কোনো সম্পর্ক
অশেষ -
বিষাদবেলার পরে
উজানের নদী কী বিষণ্ণ হয়ে রয়েছে,
বিধুরা জল তার গল্পকথা সৃষ্টি করে চলে যাচ্ছে মোহনার দিকে,
কে শুনলো সেই রূপকথা, নদীর করুণ
জলশব্দ ?
রূপভাস দিগন্ত
বলছে - চিনতে পারো ?
কেউ কেউ ঘরে
ফেরে,
কেউ ফেরে না ।
ঘর আর পথ
পথ আর ঘর -
এই দুইয়ের
সন্ধানে আজীবন বেলা যায় ।
কোথায় রূপ-কথা
আর অরূপ-কথা হাত ধরে থাকে পরস্পর ।
নৈঃশব্দ্যের
জানালা
নৈঃশব্দ্যের
জানালা খুলে একটুকরো শব্দ ভেসে এলে স্থবির হয়ে যায় জ্যোৎস্নাঘর ।
সে সুকোমল শব্দধ্বনি
-
কোন গহন থেকে
উঠে আসা করুণতম আকুতি,
আর্তিময় ডেকে
উড়ে গেছে যে বিষণ্ণা পাখি,
তার স্মৃতির
মেঘ ফিরে আসে জনারণ্যে,
জনারণ্য স্তব্ধ
হয়ে যায় ।
তখন কে এক
বৃষ্টিঝরা দিনের কথা ভাবে,
ঝরে যাচ্ছে
পরমা বৃষ্টি সারাটা দিন ।
আর নদীময়
জলশব্দ শুধু অঝোর কান্নার মত বয়ে যায় ।
নৈঃশব্দ্যের
জানালার কাছে কে দাঁড়িয়ে থাকে আজীবন -
প্রতিটা জলশব্দ
তাকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায় ।
কবিতার পাখিরা
এক একটা করে
পাখি নেমে আসে সেই জলাশয়ে। তাদের আলোড়ন জুড়ে জেগে ওঠে শৈল্পিক বিকেল ।
তাদের রঙিন ডাক বুকে নিয়ে পৃথিবী আরো একটু সুন্দর হয়ে ওঠে, আরো একটু করুণ
।
কবিতাহীন কবির
কাছে তখন ধরা দেয় অধরা কবিতাগুলো ।
বলে - এই ত
পাখিজীবন, এই ত ভালোবাসা, এই ত কবিতার জীবনযাপন ।
শব্দ নৈঃশব্দ্যের কবিতারা আনন্দ-বিষাদের অনুভব নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে -
এই কি কবিতার
অমেয় পথ ? কবিতার ক্রান্তি ? আলো-ছায়া ?
অচেনা অজানা
পথিকের মত কবিতার পাখিরা অনন্তের দিকে উড়ে যায় ।
2 মন্তব্যসমূহ
খুব ভালো লাগল তিনটি কবিতাই। লেখাগুলির আলো-ছায়া, বিষন্নতা আর আর্তি মনকে স্পর্শ করল।- পৃথা চট্টোপাধ্যায়।
উত্তরমুছুনতিনটি কবিতাই সুন্দর। মায়াময়। ভালো লাগলো তপনজ্যোতি বাবু। ~ রাজদীপ ভট্টাচার্য
উত্তরমুছুন