গুচ্ছ কবিতা
ভ্রমণ
পঞ্চশীল ধ্বজ, পথের দুধারে মেঘ বাতাসের চর্যা
ধরার সম্বলে আপাত নিষেধ, নিজেই নিতে হবে যার যা
চূড়ায় স্মিতা বজ্রযোগিনী, কানে ঢ্যাংরুর কান্না বিচার
প্রশ্নের ধকে পা, কেমন লাগছে বলো, মুফতির ব্লাউজের কাট
শীলনে ব্রাহ্মীলিপি, মহামূদ্রা চড়াই ভাঙ্গে, খাদে কঙ্কাল
এখনই তোমাকে চাই, সম্মতে নিপুন হাত সঙ্গত দেওয়াল
দাম্পত্যে বল্মীক দৃঢ়, বৈদ্য অনুমিত প্রসাধনে কর্পটি নাথ
খিদে, চোখমাত্র আমন্ত্রণ স্বীকার করে, ঘিরে শির মেহন
সাদা হলে রাত, ধ্বজশ্লোক পাঠের আসরে পাহাড়ি বিগত মানুষেরা
আদিদেব মঙ্গোলীয় চোখে ঢুলু ঢুলু, পার্বতীর সব ক্রোধ মঞ্জুর, বুকে পা
ডাকিনীরা তারায় পাতায় সুজনের ডাক লিখে রেখে মন্ত্র চালায়
অকাল মৃত্যু হয় বীজভঙ্গিলে, ক্ষেত অতৃপ্ত কামাক্ষা সামলায়
শেষ নাম পাওয়া রাত্রিরা হঠাৎ আবেগে রাখে বন্ধন, দড়িপথে যাতায়ত
দুহাতে কাছিয়ে শিষ্ট আয়ু, যদিও পথের মৃত্যু, অপত্য মেলেছে দুই হাত
আরাধনা
১
আঁচল ঘুরিয়ে কোমরে গিঁট যদি নদি
জলপ্রবাহ হিসাব কষেছ
বিছিয়ে রেখেছো পাথুরে ঘরের পোতা
এবার বিদ্যুৎ জন্মাবে
২
আকাশ গোছাতে সক্ষম দুই হাত
জবাকুসুম তেল, মাস-ঋতু গলে ভালোলাগা
কক্ষপথ বাঁধা পড়ে,
নবগ্রহ ভালো ছেলে খোপায় খোপায়
৩
কথায় কথায় ফোটে ভাত ডাল খই
পল্লব দরোজা খুললেই অনন্ত প্রশ্রয়,
রাতের আড়াল নামে ঘুমায় রাখাল
কোল পাতে, পৃথিবী ছোট হয় চোখের তারায়
৪
পিঠ-পার্বতী, প্রিয় নাম লেখা, সমুদ্র বাঁধে অনায়াস
মধ্য এশিয়া প্রতিহত, গর্ভ দিয়েছে ধার,
নাবালকে টেথিস সাধ
মৎস অবতার ভালোবাসা জেগে ওঠে – পুরুষ পুরুষ
৫
নাক ফুঁসে ওঠে যে বেদনায়
গলায় আটকে থাকে হাজার মেঘলা দিন
উন্নতি দিয়েছ যেমন মমতায়, সেই বুকে
মেলে দেওয়া আছে সিদ্ধ ধান, শুকাচ্ছে না
ঘৃণা লেখা – পুরুষ, পুরুষ…..
৬
আগুনে আসো তবে, ইতিহাসে জহরত
ব্রতে বিল্বকাষ্ঠ, কুঠারে রাখো পৃথিবী
মাতা-দুহিতা-প্রিয়া ঘুড়ি গুলি ছিঁড়ে যাক,
বিলাস উড়ান
অঙ্গই একমাত্র পরিচয়, যথেষ্ট সমমানসহ
লাঙলের প্রাকইতিহাস পাঠ্যে দাবি সহ
নথের আন্দোলনে স্থিত বাজারের সুর
0 মন্তব্যসমূহ