দুটি কবিতা
১
আশ্চর্য মলম
নিবিড় উপকথায় অনেকদিন নদী এসে বসেনি বুকে
বাষ্প হয়ে ওড়েনি পথ অদ্রাব্য স্মৃতিকোঠায়
টবে লাগানো নয়নতারা ভুলিয়ে দিচ্ছে রাতের নক্ষত্র
আত্মস্বাদে ক্রমে ক্রমে লীন হচ্ছে আস্বাদ।
এই অন্তস্রাব অনুভূতিগুলো বুড়ো হতে হতে
চোরাবালির গন্ধ বাতাসে
সূর্যাস্তের ছায়ায় ট্রেন জানালার ওপারে
ধোঁয়া ধোঁয়া পৃথিবীর রং।
ওপাড়ে দেখতে পাই তুলসীতলার
মাটি
আঁচলের খুঁট গলায় জড়ানো তামারঙের মাতৃইচ্ছে
আর দূরে মিলিয়ে যাচ্ছে হকারের কণ্ঠ—
হাঁটুতে-এ ব্যথা, কোমরে-এ ব্যথা, শিরায় শিরায় ব্যথা….
৮০-র গ্রাম
হেরন বাগদিও পেয়েছিল ভিত কাটা
এক ঘটি রুপোর টাকা,
সিন্ধু ঠাকরুণের বাড়ি ছিল নাকি ওই জায়গায়,
মুখে মুখে রটেছিল গোপনে নিয়ে যাওয়া
হেরণের প্রাপ্তিযোগ।
আর ভজনের বউও পেয়েছিল বোধহয়
সমীরের দোকান থেকে নিয়ে আসা
কয়লা ভেঙে সোনার টুকরো এক
সে কাহিনিও উড়েছিল হাওয়ার পালকে খুব।
অনির্বাণ স্যার বলেছিলেন--
অনেক দিনের ইতিহাস ভাঙলে নাকি
এসব পাওয়া যায়।
আমিও ইতিহাস ভাঙব
৮০-র গ্রাম ভেঙে ভেঙে
পেট থেকে বের করে নেব রুপোর সকাল আর
সোনার বিকেল, কাঁচা দুধকলমি আর নটে শাক।
0 মন্তব্যসমূহ