দুটি কবিতা
নলতা থেকে নন্দীপাড়া
কপোতাক্ষের ঘোলাজলে মিশে গেছে জীবনের গতি-প্রকৃতি, সমস্ত রহস্য গ্লানি... নলতার বড়
রাস্তা ধরে এঁকেবেঁকে চলে গেছে হাজার স্বপ্ন, রথ... বাস্তবতা, জীবন-প্রকৃতি। সে
ইতিহাস নবগঙ্গায় থমকে গেছে ঢের। আগুনের নদী হয়ে এভাবে জীবন চলে বোধহয়! এক দুই তিন;
দিন-মাস-বছর-শতাব্দী চলে যায়... অতঃপর টালিগঞ্জের কর্পোরেট বাণিজ্য কিংবা মতিঝিলের পুঁজিবাদ নোতুবা আধিপত্যবাদ রহস্য ভেদ করে ফিনিক্স
পাখি হয়ে উড়ে যায় মহাশূন্যে; শূন্য থেকে শূন্যতায়। মূলত হওয়া উচিত ছিলো শাহবাগের
গণবিস্ফোরণ নিয়ে এপিক সাহিত্য অথবা, ‘উত্তম দাশ’কে নিয়ে বায়োপিক ডকুফিচার। জীবনের
সমস্ত গতি-প্রকৃতি আজ ফিকে হয়ে গেছে... কী এক অদ্ভূত রহস্য! এভাবে রাস্তার শেষে
রাস্তা খুঁজে ফেরা পথভোলা এক নির্মম রহস্য... অলিতে-গলিতে আজো ভিড় করে, নলতা থেকে
নন্দীপাড়া।
ভাসেনা স্বপ্নের ভেলা
হিম যুগ থেকে সেই অবধি মন্দিরা অস্থির বসে থাকে দেবদারু গাছের তলায়
উপরের দাঁত দিয়ে নিচের ঠোঁটকে আষ্টেপৃষ্টে শাসন চালায় প্রতিনিয়ত...
রোদ্দুর মাখা ঝুলন্ত ছায়াগুলো ভিড় করে মন্দিরার মুখে। ক্রমশ ট্রেনের
হুইসেল শোনা যায়... সমস্ত লোমকূপ কেঁপে ওঠে, এ যেন এক স্পন্দিত হৃদয়-
আচানক ছুঁয়ে যায় বৃষ্টির পরসা। হয়তো ট্রেনটি দৌঁড়ে এসে কস্তুরির গন্ধ ছড়াবে!
দিন-মাস-বছর-শতাব্দী আর অজস্র রোদ্দুরগুলোও একে একে বিদায় নেয়...
এ ক্ষুধার্ত পরাজয়ের সময়। ট্রেনে জঙ ধরে, জঙ ধরে মন্দিরার শরীরে,
জঙ ধরে স্বপ্নে ; মূলত ভাসেনা স্বপ্নের ভেলা অন্ধকার অক্টোপাসে।
0 মন্তব্যসমূহ