গতজন্ম,পাথর আর জোনাকি
১.
মনখারাপ দিয়ে দিনকে গুন করলে, বেড়ে যায় চোখের তাপমাত্রা।
বাষ্পের মেঘ ধেয়ে এলে ওই সব বাঁধের উপকরণ কিনি।
ছায়াকাচ আর পেন্সিলে জল আটকায় না।
অভিমানের ওয়ালেট থেকে ছড়িয়ে যায় মৃত প্রেমিকের স্বপ্ন,
গতজন্মের বারণরেখা আর বিশুদ্ধ অন্ধকার।জন্ম পেরিয়ে
পেরিয়ে
একতাল কালো পাথর ।
২.
পাথরের গায়ে দাগ টানি।টানতে টানতে নদী। গাছ। পাখি।
আর অনেকটা দূর। চেপে বসে কাঁকরের রাস্তা।মেটে রং।
রক্তের ভিতর খলসে মাছ খলবল করে। ঘুনির ভিতরে কথার
ঝটপটানি।
কুচিকাঠি আর শালপাতা বিকেল গেঁথে গেঁথে ফিরি করে মেঘ।
বসন্ত ব্যাকুল হয়। যত হলুদ পাখি আর বালির চিকমিক
ওড়াউড়ি করে।
গোলাপি ওড়নায় স্বপ্ন গুলো ফুটে উঠতে থাকে ক্রমশ।
৩.
কাটা দাগ পাথরের ঠোঁটে ।গতজন্মের ।অভিশপ্ত কোনো বেদনাচিহ্ন।
এখনও অবশেসন সন্ধ্যাতারা।বনকলমির মাঠ।
সূর্য আর পৃথিবীর চুম্বন দৃশ্যের নীরব দর্শক। সন্ধে
পেরোনো পাথরের বুকে
জোনাকি জ্বলে উঠলে জাগ্রত হয়ে ওঠে প্রেমিক।ঠোঁটের অভিশাপ মুছে যায় ।
এইজন্মের চারপাশে কোনো বনকলমির আড়াল নেই। নিম জমে
আছে ঠোঁটে।
তলপেটে কর্পোরেট খিদের ঝোঁক।জোনাকিদের কালরাত্রি।
আর জাগ্রত হয় না পাথর। বেঁচে থাকার ভিতরে মৃত পাথরের
চোখগুলি
বোর্ডপিনের মতো গেঁথে থাকে।
--------------------------------------
ছবি ঋণ: গুগল
5 মন্তব্যসমূহ
অসাধারণ লেখনী।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা
মুছুননতুন ধরনের মেটাফরের ব্যবহার কবিতাগুলো কে অন্য মাত্রা দিয়েছে । তুমি থেমে নেই বোঝা যায় । চলার পথে নতুন নতুন দেখা আর বাঁক তোমার সৃষ্টিকে ঋদ্ধ করছে ।
উত্তরমুছুনমূল্যবান মতামতে সাহস পেলাম।অনেক ধন্যবাদ।
মুছুনচমৎকার লাগলো
উত্তরমুছুন