কখনো বঙ্গ থেকে বাঙ্গুর এভিনিউ
কখনো শ্রীরামপুর কয়লা
খনির কালিতে গা ধুয়ে
কলকাতার কার্ণিশে
দাঁড়িয়ে কাঁদে সুবর্ণ সেন
রোদের রুমাল ফেলে পথে
নেমেছিল সেই কবে
মনে পড়ে
মন পোড়ে
প্রতাপাদিত্য আবার
রাজা হয়ে আসবেন
খুকুর পায়ের কালো দড়ি
খুলে যাবে
হরিদাসী পৌঁছে যাবে
পানাম নগরে
জলের অভাবে মাথা ঠুকে
মরবে না ভদ্রা-হরিহর
জঙ্গল পুড়িয়ে
পাথর সরিয়ে
চারুপীঠ গড়ে তুলবেন এস
এম সুলতান
স্বপ্ন দেখে শতবর্ষী
শিরিষের সন্তানেরা
করুণ কাফেলা
বাঙালা থেকে বিহার উড়িষ্যা
অবধি
মানুষেরা যেন ঘরহীন
পিপীলিকা
মুখগুলো সব বাঙলা
অক্ষরে আঁকা
কান্না আর রক্তে মেশানো
জলরঙ
বিনিদ্র শিল্পীর হাতের
তুলি খসে পড়ে
বিনোদিনি নাচে
স্বার্থের জলসা ঘরে
ঘৃণার ঘুঙুর
রক্ত ঝরে
দুর্নিবার দুঃখের আলপনা
ইতিহাস হয়ে যায়
কুকুরের নাকি মানুষের
মৃতদেহ
চিনতে পারে না রাতের
রানার
লন্ঠন আর চিঠির ঝুলি
বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে ভেজে
ছুটে চলে লাল ঘোড়া
যশস্বী যশোর রোড অবাক
চোখে তাকিয়ে দেখে !
0 মন্তব্যসমূহ