সিঁড়ির ধাপে পা
প্রথমধাপে পা রাখতেই হুশসস বেরিয়ে যাচ্ছে বল্গাহীন স্লেজ! টালসামলে পরের
ধাপে পা। পায়ের পাতায় শিশিরে ধোয়া ঘাস, তখন রোদ না-ওঠা ভোর... যেতে যেতে মনকেমনের মেঘ
- মাঠ পেরোল, বাঁধ পেরোল, শুখাবালুর চর পেরোল চাকা; তাহার উপর গা এলানো সেতু... তারপর
বাসস্টপ! নামছি জোড়া পা! তাক লেগে যায় হোর্ডিং জুড়ে লাস্যময়ীর গা! পাল্টে যাচ্ছে ফ্রেম!
ফুটপাত আর উনুনের সংলাপ! ভাত ফুটছে, বাতাস গন্ধময়! শিলপাটাটির খাঁজে লেগে
আয়ুর ছিটেফোঁটা, সকাল বিকেল কঠিন শব্দময়! হুল্লোড়ে চিৎকারে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে আবোলতাবোল
মিছিল সিলেবাসের। যবনিকাও দেখতে পাওয়া যায়
এলোমেলো পথ পেরোচ্ছে, গলি পেরোয় ত্রস্ত জোড়া পা এখন তেমন কান্না আসছেনা।
উড়ে গেছে সাতসকালের নকশিকাঁথার সুর, ঘাস-পাতাদের মৃদুল গায়ের ওম! জমাটবাধা শিশির-স্মৃতি
গুটিয়ে নিচ্ছে ডানা... শূন্যে ওড়ে অভিধানের পাতা... উবে যাচ্ছে গণিত ও দর্শন; সেসব
ছিল সাতলহরী পুরাতনী মালা... আজ বিকেলের ফেরার বাসে টিকিট কাটছি আমি - তুমি- সে