দুটি কবিতা
চল্লিশের পরেই
খুব সাবধানে শোয়ার পরেও বেডকভার গুটিয়ে ওঠে, বালিশ ছিটকে পড়ে মাথা থেকে।
রাস্তা চলতে চলতে ঘটিয়ে ফেলে দুর্ঘটনা। সেটা কাউকে বাঁচানোর জন্য কিংবা নিজেরই ভুল।
মোটকথা চল্লিশের পরেই বিপদ আসে বড্ড তাড়াতাড়ি। গুছিয়ে মিথ্যে বলা আমার আসে না। অর্ধেক
ভালোলাগা কাউকে দেখাতে গিয়ে সাপের ফোঁস ছুটে আসে আচমকা। অম্বলের হাতে বুক সঁপে দেওয়ার
পরেও বড়ো পেটির টক ফেরাতে পারিনা। আর নরম তেলেভাজা টেনে নিয়ে যায় রূপকথার দেশে। সবকিছু
ছেড়ে দিয়ে আর কতদিন নিজেকে সন্ন্যাসী প্রমাণ করে যাবো? গাড়ি চালাতে গিয়ে হাত কেঁপে
গেলেও লঙ্ ড্রাইভে উড়তে চাওয়া মজলিস তুমি আটকাতে পারো না।
তেমনভাবে চাইলে আদর আর সঙ্গমের ফাঁক গলে আমি একটা নৌকো আনতে পারি যা কখনোই
চল্লিশ পেরোবে না।
২.
সেফ গেম
মিশতে পারেনি ব'লে ধানখেত আর আকাশ দিগন্তকে দোষ দিয়েছে আজীবন। সোনালী শীষের
স্পর্ধায় যতবার উঠতে চেয়েছে ততবারই বৃষ্টির আক্রমনে লুটিয়ে পড়েছে সে। দূরে দাঁড়িয়ে
আকাশ শুধু দেখতে থাকে কীভাবে হলুদ হয়ে আসে পাতা। মেঘ আর বাতাসের মাঝখানে যে নদী বয়ে
গেছে তা পেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা সে কখনো করেনি। বুঝে নিয়েছে দলে টিকে থাকতে গেলে কীভাবে
নিজেকে আপডেট করতে হয়। এভাবেই বদলেছে হরপ্পা, মেসোপোটেমিয়া কিংবা সুমেরীয় পুতুল। পান্ডু
থেকে বিচিত্রবীর্য বুকে নিয়েছে অন্য ঘরের স্নেহ। কতটা মিশতে পেরেছিল সে খবর রাখেনি
কেউ।
ওপরের তুমি ছেড়ে একবার নীচে এসে দেখো শুকনো মাঠের হাহাকারে ঘাসেরা এখনো
ভিজে আছে।
সুমন দিন্ডা